সংস্কারের অভাবে ভেঙে গিয়েছে রাস্তা। মঙ্গলবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
উলুবেড়িয়ার হোগলাসি মোড় থেকে কমলপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তার হাল শোচনীয়। এই রাস্তায় শুধু যে ঘন ঘন বাস এবং ট্রেকার চলে। চলে মোটরবাইকও। কিন্তু মেরামতির অভাবে রাস্তায় তৈরি হয়েছে গর্ত। তাতে জল জমে ডোবার আকার নিয়েছে। তার উপর দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিভিন্ন মহলে একাধিকবার বিষয়টি জানানো হলেও কোনও সুরাহা হয়নি।
কমলপুরে হাট, রাধাপুর বাজার, শ্যামপুর-১ নম্বর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য এই রাস্তাই একমাত্র মাধ্যম। কিন্তু খারাপ রাস্তার কারণে আরোহীরা বিপাকে পড়েন। অটোরিকশার দৌরাত্ম্যে যখন শ্যামপুরের বিভিন্ন রুটের বাস চলাচল একের পর বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তখন কিন্তু চালু ছিল বাগনান-কমলপুর রুটের বাস। বাসমালিকদের অভিযোগ, রাস্তার হাল এতটাই খারাপ যে বাসের রক্ষণাবেক্ষণ করতে গিয়ে লাভের গুড় পিঁপড়ে খেয়ে নেয়। এই রাস্তাটি বরাবরই পিচের। কিন্তু বছরের পর বছর মেরামত না হওয়ার ফলেই এখন জায়গায় জায়গায় খন্দে পরিণত হয়েছে।
একই রকম শোচনীয় অবস্থা কমলপুর থেকে রাধাপুরের উপর দিয়ে জাল্লাবাজ পর্যন্ত রাস্তাটির। রাস্তার এই অংশটুকুর দৈর্ঘ্য প্রায় তিন কিলোমিটার। বছরদশেক আগে এই রাস্তাটি তৈরি হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পে। যেহেতু রাস্তার অনেকটা অংশই রূপনারায়ণের পাড় বরাবর গিয়েছে তাই পরবর্তীকালে প্রায় ২ কোটি টাকা খরচ করে সেচ দফতরও রাস্তাটি মেরামত করে। কিন্তু বছর দুই হল এই রাস্তার উপরেও পিচের আস্তরন আর নেই বললেই চলে। তবুও এর উপর দিয়েই যাত্রীবোঝাই ট্রেকার চলাচল করে।
রাধাপুরের বাসিন্দা রাজা ভৌমিক, কার্তিক দাস, চন্দ্রকান্ত দাসের বললেন, “প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই যাত্রীরা ট্রেকারে ওঠেন।” রাস্তাটি অবিলম্বে মেরামতির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। দু’টি রাস্তাই মেরামতির জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে দাবি করেন শ্যামপুরের বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের কালীপদ মণ্ডল। তিনি বলেন, “হোগলাসি থেকে কমলপুর পর্যন্ত রাস্তাটি মেরামত করবে রাজ্য পূর্ত (সড়ক) দফতর। ইতিমধ্যেই তারা বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করে ফেলেছে। বর্ষা কাটলেই কাজ শুরু হবে।” অন্য দিকে রাধাপুর থেকে জাল্লাবাজ পর্যন্ত রাস্তাটির মেরামতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর এই রাস্তার মেরামতির কাজ করবে। এই কাজটিও খুব শীঘ্র শুরু বলে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ণ দফতর থেকে জানতে পেরেছি।”