দু’মাস আগে ভেঙেছে সেতু, খাল পেরোতে দুর্ভোগ গ্রামে

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মাস দুয়েক আগে গ্রামের নিকাশি-নালার উপরের পাকা সেতুটি ভেঙে পড়ে। পারাপারের জন্য পঞ্চায়েতের তরফে তৈরি করে দেওয়া হয় বাঁশের সাঁকো। সেই সাঁকো দিয়েই প্রাণ হাতে যাতায়াত করতে হচ্ছে উলুবেড়িয়া মহেশপুর পঞ্চায়েতের বীরশিবপুর মোল্লাপাড়া-সহ আশপাশের চার-পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দাদের। ঘটছে দুর্ঘটনা। অবিলম্বে সেতু তৈরির দাবি তুলেছেন গ্রামবাসী।

Advertisement

রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৪ ০১:১০
Share:

সাঁকোর উপর দিয়ে বিপজ্জনক পারাপার।—নিজস্ব চিত্র।

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মাস দুয়েক আগে গ্রামের নিকাশি-নালার উপরের পাকা সেতুটি ভেঙে পড়ে। পারাপারের জন্য পঞ্চায়েতের তরফে তৈরি করে দেওয়া হয় বাঁশের সাঁকো। সেই সাঁকো দিয়েই প্রাণ হাতে যাতায়াত করতে হচ্ছে উলুবেড়িয়া মহেশপুর পঞ্চায়েতের বীরশিবপুর মোল্লাপাড়া-সহ আশপাশের চার-পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দাদের। ঘটছে দুর্ঘটনা। অবিলম্বে সেতু তৈরির দাবি তুলেছেন গ্রামবাসী।

Advertisement

পঞ্চায়েত প্রধান সুলতানা বেগম জানিয়েছেন, সেচ দফতরে লিখিত ভাবে সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পরে জানানো হয়। কিন্তু কাজ এখনও আরম্ভ হয়নি। উলুবেড়িয়া সেচ দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার অনির্বাণ ভট্টাচার্যের আশ্বাস, “সেতুটি নতুন ভাবে নির্মাণ করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে।”

পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বছর ২৫ আগে সেচ দফতরের তত্ত্বাবধানে ১৫ ফুট লম্বা এবং ৬ ফুট চওড়া কংক্রিটের সেতুটি তৈরি হয় মোল্লাপাড়ায়। সেতু দিয়ে সাইকেল, মোটর বাইক, রিকশা, ভ্যান, মোটর ভ্যানের মতো যানবাহন চলাচল করত। বলরামপুর, জারামপুর ছাড়াও দাভাঙা, বাড়বেড়িয়ার মতো নাগোয়া চার-পাঁচটি গ্রামের মানুষজন এবং স্কুলের ছাত্রছাত্রীও যাতায়াত করত।

Advertisement

কিন্তু সেতুটি ভেঙে পড়ায় সমস্যায় সকলে। তৈরির পর একবারও সেতুটি মেরামত করা হয়নি বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। তাঁদের বক্তব্য, রাতের অন্ধকারে ভেঙে যাওয়া সেতুর পাশের অস্থায়ী সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে দুর্ভোগ হচ্ছে। মোল্লাপাড়ার বাসিন্দাদের মধ্যে মনিরুল ইসলাম, খাইরুল বাসাদরা বলেন, “সেতু ভেঙে যাওয়ার ফলে অসুবিধায় পড়েছি। সাঁকো দিয়ে বিপজ্জনক ভাবে যাতায়াত করতে হচ্ছে। নতুবা মোটরবাইক, সাইকেল নিয়ে দু’কিলোনিটার ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে।” সেতুটি দ্রুত তৈরি করার ব্যাপারে প্রশাসনিক উদাসীনতার অভিযোগও তুলেছেন কেউ কেউ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন