রাস্তায় বাস আটকাচ্ছে টিএমসিপি-র সমর্থকরা। ছবি: দীপঙ্কর দে।
ধর্মঘটে চাকা গড়ায়নি। তাই হুগলির চণ্ডীতলায় তিনটি রুটের বাস ও ট্রেকার চলাচল বন্ধ করে বৃহস্পতিবার সকালে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখাল মশাট বিদ্যাসাগর মহাবিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) সমর্থকেরা। ২৬এ রুটের বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বাসস্ট্যান্ডের অফিসে তালাও ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় ওই বিক্ষোভ। এর জেরে ওই রাস্তা কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত চণ্ডীতলা থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ বন্ধ হয়।
টিএমসিপি-র অভিযোগ, বুধবার কলেজের প্রথম বর্ষের পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। কিন্তু বাস-ট্রেকার না চলায় অনেক ছাত্রছাত্রী কলেজে আসতে পারেননি। তাই শ্রীরামপুর-মশাট, চাঁপাতলা-ডানলপ ও সিঙ্গুর-বড়গাছিয়া রুটের বাস ও ট্রেকার চলাচল এ দিন সকালে বন্ধ করে দেওয়া হয়। টিএমসিপি নেতা তথা কলেজের ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ সাঁতরার দাবি, ‘‘অনৈতিক ধর্মঘটের ফলে ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা হয়েছে। বুধবারই রেজিস্ট্রেশনের শেষ দিন ছিল। গাড়ি না চলায় অনেকে আসতে পারেননি। তার দায় কে নেবে?’’ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আশ্বাস দেয়, এ ব্যাপারে তারা কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবে। কলেজের অধ্যক্ষ সমীরকুমার সিংহ জানিয়েছেন, যে সব ছাত্রছাত্রী রেজিস্ট্রেশনের ফর্ম জমা দিতে পারেননি, তাঁদের জন্য একটি দিল বাডা়নোর চিন্তাভাবনা চলছে।
এ দিন ২৬এ রুটের এক বাসচালক বলেন, ‘‘ধর্মঘটের দিন বাসে ভাঙচুর চালানো হলে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায় না। তা ছাড়া, নিজেদেরও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই রাস্তায় বাস নামানো হয়নি। কিন্তু এ দিন জোর করে বাস আটকে রাখা হল।’’ সিপিএম নেতৃত্বের কটাক্ষ, বাস বন্ধ থাকার প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাস বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এই আন্দোলনের মানে কী?