নিকাশি বেহাল, জলমগ্ন গ্রাম

নিকাশি বেহাল। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তা জলের তলায়। প্রতি বছর বর্ষা নামলেই এটাই ছবি এলাকার। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বহু দরবার করা হলেও প্রশাসন থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। হাওড়া ডোমজুড়ের মহিয়াড়ী ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অন্তর্গত প্রশস্থ গ্রামটি পটুয়াপাড়া বলেই পরিচিত। প্রতি বছর বর্ষায় ভাসে গ্রাম। ডোমজুড়ের খটির বাজার থেকে অঙ্কুরহাটি পর্যন্ত রাস্তার উপর এক হাটু জল। এর মধ্যে দিয়েই বিপদের আশঙ্কা মাথায় নিয়ে পথচারি, রিক্সা, সাইকেল, মোটরবাইক, ট্রেকার ইত্যাদি যানবাহন যাতায়াত করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৪ ০২:২৩
Share:

নিকাশি বেহাল। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তা জলের তলায়। প্রতি বছর বর্ষা নামলেই এটাই ছবি এলাকার। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বহু দরবার করা হলেও প্রশাসন থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

Advertisement

হাওড়া ডোমজুড়ের মহিয়াড়ী ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অন্তর্গত প্রশস্থ গ্রামটি পটুয়াপাড়া বলেই পরিচিত। প্রতি বছর বর্ষায় ভাসে গ্রাম। ডোমজুড়ের খটির বাজার থেকে অঙ্কুরহাটি পর্যন্ত রাস্তার উপর এক হাটু জল। এর মধ্যে দিয়েই বিপদের আশঙ্কা মাথায় নিয়ে পথচারি, রিক্সা, সাইকেল, মোটরবাইক, ট্রেকার ইত্যাদি যানবাহন যাতায়াত করে। তা ছাড়া রাস্তার একপাশে অঙ্কুরহাটির কাছে রয়েছে মুম্বই রোড এবং অপরপ্রান্তে আন্দুল রেল স্টেশন। ফলে বহু মানুষ যাতায়াত করেন এই রাস্তা দিয়ে। রাস্তার কারণে ঘটছে দূর্ঘটনাও। তবু প্রসাসনের ভ্রুক্ষেপ নেই বলে জানালেন এলাকাবাসী। অঞ্জন পাল নামে এক গ্রামের বাসিন্দা বলেন, “এলাকার খাল, ড্রেনগুলি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ার ফলে সাত বিঘা এলাকা বর্ষার প্রথম থেকে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এর ফলে এলাকায় মশা, মাছির উপদ্রবও বাড়ছে। ফলে মানুষ নানা রকম রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।”

শুধু তাই নয় এই রাস্তার দুপাশে রয়েছে প্রায় ৩৫টি মৃৎশিল্পের প্রতিষ্ঠান। এলাকা জলমগ্ন হওয়ায় এই পুজোর ঠিক আগে এইরকম জল জমলে এই ব্যবসারও যথেষ্ট ক্ষতি হচ্ছে বলে জানালেন মৃৎশিল্পীরা। বিশেষ করে প্রতিমা তৈরির কাজে এই বর্ষার জমা জল বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ বিষয়ে বাসিন্দাদের বক্তব্য, মুম্বাই রোডের ধারে প্রচুর কলকারখানা। এখানে রাস্তা তৈরি করার সময় ড্রেনগুলি সব বুজিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাই এখন জল নমার প্রায় সব দিকই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জল নিকাশের ব্যবস্থার প্রসঙ্গে মহিয়াড়ী ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মমতাজ মোল্লা বলেন, “রাস্তার ধারে ড্রেন ও খালগুলির সংস্কারের ব্যাপারে পূর্ত দফতরকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তবে কাজ এখনও শুরু হয়নি।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement