অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার যুবক

নিখোঁজ কিশোরীকে দিল্লি থেকে উদ্ধার করল পুলিশ

তিন সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ থাকার পরে এক নাবালিকাকে দিল্লি থেকে উদ্ধার করে আনল শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া ওই কিশোরীকে অপহরণ এবং জোর করে বিয়ে করার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম ফইম শেখ। সে দিল্লিতে সোনা পালিশের কাজ করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:০০
Share:

তিন সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ থাকার পরে এক নাবালিকাকে দিল্লি থেকে উদ্ধার করে আনল শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া ওই কিশোরীকে অপহরণ এবং জোর করে বিয়ে করার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম ফইম শেখ। সে দিল্লিতে সোনা পালিশের কাজ করে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটির বয়স বছর তেরো। বাড়ি রিষড়া ৪ নম্বর রেলগেট এলাকায়। সে স্থানীয় একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। তার বাবা ঠেলা চালান। গত ১৬ জানুয়ারি স্কুলে যাওয়ার পথে মেয়েটি নিখোঁজ হয়ে যায়। সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজ করে তার হদিস পাননি বাড়ির লোকজন। তখন পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা। ২০ তারিখে শ্রীরামপুর থানায় এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মেয়েটির বাবা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট মামলা দায়ের করে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে জানা যায়, মেয়েটি দিল্লিতে রয়েছে। আইসি প্রিয়ব্রত বক্সির নির্দেশে সোমবার শ্রীরামপুর থানার পুলিশের একটি দল দিল্লিতে যায়। দিল্লির খাদের গড় সামোসা চক এলাকার একটি বাড়ি থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন পুলিশ অফিসাররা। সেখান থেকেই ফইমকে ধরা হয়। বৃহস্পতিবার ধৃত যুবক এবং ওই কিশোরীকে নিয়ে শ্রীরামপুরে পৌছয় পুলিশ। মেয়েটিকে আপাতত শ্রীরামপুর মহিলা থানায় রাখা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাকে বাড়ির লোকজনের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। রিষড়ায় ৪ নম্বর রেলগেটের কাছে মেয়েটির বাড়ির কাছে ফইমের আত্মীয়ের বাড়ি। এখানে তার যাতায়াত ছিল। সে-ই মেয়েটিকে অপহরণ করে বলে ওই কিশোরীর বাড়ির লোকজনের অভিযোগ।

পুলিশের দাবি, একটি ঘরে ওই কিশোরীকে আটকে রাখা রেখেছিল ফইম। জোর করে তাকে বিয়েও করে সে। এলাকারই একটি দোকানে সোনা পালিশের কাজ করে ফইম কাজ করে। আজ, শুক্রবার দু’জনকেই শ্রীরামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। জেলা পুলিশের এক অফিসার বলেন, “ধৃত যুবক এবং ওই কিশোরী দু’জনেরই ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হবে। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মেয়েটিকে গোপন জবানবন্দি দিতে পাঠানো হবে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন