নেত্রীর বাড়িতে ‘হামলা’, তৃণমূলের নিন্দায় শমীক

দলের হুগলি জেলা সভানেত্রীর বাড়িতে তৃণমূলের ‘হামলা’র নিন্দা করে ঘটনার কথা বিধানসভায় তুলবেন বলে জানালেন রাজ্যের একমাত্র বিজেপি বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য। কোন্নগরের জোড়াপুকুরের কাছে বিজেপির হুগলি জেলা সভানেত্রী কৃষ্ণা ভট্টাচার্যের বাড়ি। সোমবার রাতে ওই এলাকায় মিছিল করে তৃণমূল। অভিযোগ, সেই মিছিল থেকেই কৃষ্ণাদেবীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। ইট এবং পাথর ছুড়ে জানলার কাচ ভেঙে দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোন্নগর শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:৩৯
Share:

দলের হুগলি জেলা সভানেত্রীর বাড়িতে তৃণমূলের ‘হামলা’র নিন্দা করে ঘটনার কথা বিধানসভায় তুলবেন বলে জানালেন রাজ্যের একমাত্র বিজেপি বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য।

Advertisement

কোন্নগরের জোড়াপুকুরের কাছে বিজেপির হুগলি জেলা সভানেত্রী কৃষ্ণা ভট্টাচার্যের বাড়ি। সোমবার রাতে ওই এলাকায় মিছিল করে তৃণমূল। অভিযোগ, সেই মিছিল থেকেই কৃষ্ণাদেবীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। ইট এবং পাথর ছুড়ে জানলার কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। কৃষ্ণাদেবীর বৃদ্ধা মা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। যদিও প্রথম থেকেই হামলার অভিযোগ তৃণমূল উড়িয়ে দিয়েছে। কৃষ্ণাদেবীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

সেই ‘হামলা’র চিহ্ন সরেজমিনে দেখতে মঙ্গলবার কৃষ্ণাদেবীর বাড়িতে যান শমীকবাবু। তৃণমূলের নিন্দা করে তিনি বলেন, “কোন্নগরের মতো জায়গায় আমাদের জেলা সভানেত্রীর বাড়িতে যদি হামলা হতে পারে, তা হলে জেলার গ্রামাঞ্চলের অবস্থা সহজেই অনুমেয়। এই ঘটনা আমি রাজ্যপালকে জানাব। বিধানসভাতেও তুলব। তবে, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী তো আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে রাজি থাকেন না।”

Advertisement

বস্তুত, জোড়াপুকুর এলাকায় বিজেপি-তৃণমূল গোলমালের সূত্রপাত রবিবার সন্ধ্যায়। একটি পিকনিকের আসরে মাইক বাজানোকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়। হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় জখম তিন জনকে। বিজেপির ‘হামলা’র প্রতিবাদেই সোমবার রাতে জোড়াপুকুরে মিছিল করে তৃণমূল। সেই মিছিল থেকেই কৃষ্ণাদেবীর বাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ।

রবিবারের ঘটনায় প্রহৃত দলের উত্তরপাড়া মণ্ডলের কোষাধ্যক্ষ অনিল রায়ের বাড়িতেও মঙ্গলবার যান শমীকবাবু। তাঁর দলের লোকজনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ শমীকবাবু উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “তা হলে কী কৃষ্ণাদেবীর মায়ের মতো অশীতিপর মানুষরা অস্ত্র নিয়ে হামলা করতে বেরিয়েছিলেন? ওঁদের চোখমুখ দেখেই তো আতঙ্কের ছবিটা স্পষ্ট।”

জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব অবশ্য দাবি করেছেন, “মারধর করল বিজেপি। আবার ওদেরই নেতা উজিয়ে এসে মিথ্যে কথা বলে যাচ্ছেন! আস‌লে ওরা রাজ্যের সুস্থিতি নষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন