১০০ দিনের কাজে আধার নম্বর সংগ্রহ

নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ নিয়ে সংশয়, বেতন বন্ধের আশঙ্কা

নভেম্বর মাসের বেতন মিলেছে। কিন্তু ডিসেম্বর মাসের বেতন পাবেন কিনা তা নিয়ে আশঙ্কায় হুগলির পঞ্চায়েতগুলির গ্রাম রোজগার সহায়করা। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী জাতীয় কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পের শ্রমিকদের আধার কার্ড নম্বর সংগ্রহ করে ডাটাবেস তৈরির সময়সীমা রয়েছে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু সেই কাজ ৫০ শতাংশও হয়নি বলে জেলার বিভিন্ন ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:২৫
Share:

নভেম্বর মাসের বেতন মিলেছে। কিন্তু ডিসেম্বর মাসের বেতন পাবেন কিনা তা নিয়ে আশঙ্কায় হুগলির পঞ্চায়েতগুলির গ্রাম রোজগার সহায়করা। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী জাতীয় কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পের শ্রমিকদের আধার কার্ড নম্বর সংগ্রহ করে ডাটাবেস তৈরির সময়সীমা রয়েছে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু সেই কাজ ৫০ শতাংশও হয়নি বলে জেলার বিভিন্ন ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জাতীয় কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পের (১০০ দিন কাজ) শ্রমিকদের মজুরি প্রদানের ক্ষেত্রে আধার নম্বর যুক্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। গত ২১ অক্টোবর কেন্দ্রীয় সরকারের এক নির্দেশিকায় এই ব্যবস্থার প্রথম পদক্ষেপ সম্পন্ন করার চুড়ান্ত সময়সীমাও আগামী ৩১ ডিসেম্বর বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যেই প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকার প্রতিটি ঘরে ঘরে ঘুরে সক্রিয় শ্রমিকের আধার নম্বর সংগ্রহ করে এনআরইজিএ ওয়েবসাইটে তুলতে হবে। কাজটি করতে হবে পঞ্চায়েত স্তরের গ্রাম রোজগার সহায়কদের (জিআরএস)। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে সাফল্যের সঙ্গে কাজ সম্পন্ন করতে না পারলে নভেম্বর এবং ডিসেম্বর মাসের বেতন পাবেন না গ্রাম রোজগার সেবকরা। এর ফলে ফাঁপড়ে পড়েছেন জেলার ২০৭টি পঞ্চায়েতের গ্রাম রোজগার সহায়করা। বিভিন্ন পঞ্চায়েতের গ্রাম রোজগার সহায়কদের অভিযোগ, তাঁরা নির্দেশিকার বিষয়টি জানার পর টানা কাজ করেও ৫০ শতাংশের বেশি কাজ করতে পারেননি। কারণ হিসাবে জানান, প্রথমত এক-একটি পঞ্চায়েত এলাকায় গড়ে ১২ থেকে ১৩ টি গ্রাম। প্রতি গ্রামে আবার কয়েক হাজার করে পরিবার। ওই সব শ্রমিককে বাড়িতে গেলেই যে পাওয়া যাচ্ছে তা নয়। আবার ৫০ শতাংশ শ্রমিকের আধার কার্ডই নেই। আধার কার্ড করার স্থায়ী কেন্দ্র নেই বলেই এই হাল বলে তাঁদের অভিযোগ।

জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, হুগলিতে ১০০ দিন কাজের প্রকল্পে মোট সক্রিয় শ্রমিকের সংখ্যা ৮ লক্ষ ১৬ হাজার ২৮১ জন। তাঁদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৪ লক্ষ ১২ হাজার ৫৪৯ জন শ্রমিকের আধার নম্বর এনআরইজিএ ওয়েব সাইটে নথিভুক্ত হয়েছে। হাতে আছে মাত্র ২২ দিন। তার মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টা হচ্ছে। জেলা এনআরইজিএ নোডাল অফিসার প্রেমবিকাশ কাঁসারি বলেন, “কাজ দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। আমরা ইতিমধ্যে ৫৫.৫৪ শতাংশ কাজ করে ফেলেছি। কিছু মানুষ হাতে আধার কার্ড পাননি। বেশ কিছু মানুষের কার্ড পোস্ট অফিসে পড়ে আছে।”

Advertisement

আধারের স্থায়ী কেন্দ্র নেই বলে যে অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়ে হুগলি জেলা সেনসাস ও সি তাপস ঘোষ বলেন, “আগামী দিন সাতেকের মধ্যেই জেলার প্রতিটি ব্লক এবং পুরসভা এলাকায় একটি করে আধার কেন্দ্র চালু হবে।” তিনি জানান জেলার মোট জনসংখ্যার ৮৮ শতাংশেরই আধার কার্ড হয়ে গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন