রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বের করে বেআইনি ভাবে বিক্রির অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির শেওড়াফুলিতে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে দু’টি গ্যাস ভরার যন্ত্র (পাঞ্চিং মেশিন) এবং ৩টি সিলিন্ডার উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের নাম ইসারুল হোসেন ওরফে বাবুয়া এবং সুদীপ দেবনাথ। প্রথম জনের বাড়ি স্থানীয় চাতরা মুসলিমপাড়ায়। সুদীপ শেওড়াফুলি চারাবাগানের বাসিন্দা।
তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের দাবি, রান্নার গ্যাস পেতে বেশ কিছু দিন দেরি হচ্ছে বলে মানুষজনের কাছ থেকে তাঁরা অভিযোগ পাচ্ছিলেন। শেওড়াফুলিতে বেশ কিছু অটো রান্নার গ্যাসে চলছে বলেও পুলিশের কানে অভিযোগ আসছিল। সূত্র মারফত খবর পেয়ে এ দিন রাতে শেওড়াফুলি ফাঁড়ির ইন চার্জ সুব্রত দাসের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী ইসারুল এবং সুদীপের বাড়িতে হানা দিয়ে তাদের বমাল গ্রেফতার করে।
তদন্তকারীদের দাবি, গ্যাসের ডিস্ট্রিবিউটরদের থেকে বেশি দামে ডোমেস্টিক সিলিন্ডার কিনে নিত ধৃতেরা। তার পরে যন্ত্রের সাহায্যে তা থেকে গ্যাস বের করে অটোরিকশা বা অন্য গাড়িতে ভরা হত। ইসারুল নিজে অটোচালক। পাশাপাশি, বাড়ির সামনেই তার একটি গ্যারেজও আছে। অভিযোগ, সেখানেই বেআইনি কারবার চালাত সে। নিজেও অটোতে রান্নার গ্যাসই ভরত সে। সুদীপও বাড়িতেই বেআইনি এবং বিপজ্জনক ওই ব্যবসা করত। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই তারা ওই কাজ করছে। জেলা পুলিশের এক অফিসার বলেন, “ওই দু’জন একটি চক্রের সঙ্গে যুক্ত। পুরো চক্রের খোঁজ চলছে। শুধু অটোরিক্সাতেই নয়, চায়ের দোকান বা অন্য খাবারের দোকানেও এই ভাবে রান্নার গ্যাস সরবরাহ করা হত বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে।”
শেওড়াফুলি-শ্রীরামপুরে অবৈধ এই ব্যবসা এর আগেও প্রকাশ্যে এসেছে। বছর খানেক আগে শ্রীরামপুরের ৪ নম্বর কলোনির একটি ক্লাবে অসাধু এই ব্যবসা চলছে বলে হদিস পায় পুলিশ। সেখানে বাড়িতে রান্নার (ডোমেস্টিক) সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বের করে বানিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত (কমার্সিয়াল) সিলিন্ডারে ভরে বিক্রি করা হত। একটি প্রাথমিক স্কুলের সামনেই ওই কাজ চলছিল। সেখানে হানা দিয়ে বেশ কয়েকটি ফাঁকা এবং গ্যাস-ভর্তি সিলিন্ডার উদ্ধার হয়। ওই কাজ চালানোর অভিযোগে কয়েক জনকে গ্রেফতারও করা হয়। শেওড়াফুলির খোন্দকারপাড়াতেও গ্যাস সিলিন্ডার সমেত-দুই যুবককে গ্রেফতার হয়।