মগরা স্টেশন চত্বর থেকে দোকানঘর সরিয়ে নিতে রেল কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন দোকানদাররা।
রেল সূত্রের খবর, হাওড়া-বর্ধমান মেন শাখার ওই স্টেশন চত্বর হকারদের দখলমুক্ত করতে সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় যে, দোকানদাররা নিজেরাই যেন দোকানঘর সরিয়ে নেন। স্টেশন চত্বরে হোটেল, চায়ের স্টল-সহ শ’তিনেক দোকান রয়েছে। হকারদের দাবি, এ ভাবে আচমকা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দোকান সরিয়ে দেওয়া হলে তাঁরা সংসার চালাতে সমস্যায় পড়বেন। তাই পুনর্বাসনের দাবিতে গত ২২ মার্চ থেকে স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের পাশে ত্রিপল খাঁটিয়ে আন্দোলন শুরু করেন তাঁরা। বাড়ির মহিলারাও অবস্থান-বিক্ষোভে সামিল হন। সোমবার রাতে স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ রত্না দে নাগ সেখানে যান। তাঁর হস্তক্ষেপে অবস্থান তুলে নেন হকাররা।
মগরা রেলওয়ে দোকানদার সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন হালদার বলেন, “দোকান সরালে পুনর্বাসন দেওয়া হোক। দীর্ঘ ৪০-৫০ বছর ধরে এখানে ব্যবসা করছি আমরা। এখন তুলে দেওয়া হলে পরিবার নিয়ে যাব কোথায়?” তাঁর বক্তব্য, “সাংসদ বলেছেন, আমাদের বিষয়টি নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন। তাঁর আশ্বাসেই আপাতত অবস্থান তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।” সমিতির সম্পাদক গৌতম সাহার বক্তব্য, “রেলের নোটিস পেয়ে আমাদের ঘুম ছুটেছে। কোনও দিশা পাচ্ছি না। রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু ওঁরা সদর্থক কিছু বলেননি। সাংসদ কিছু একটা করবেন বলে আশা করছি।”
রত্নাদেবীর বক্তব্য, “রেল কর্তৃপক্ষ হয়তো হকার তুলে দিয়ে সেখানে কিছু করবেন! আমরা উন্নয়নের বিরোধী নই। কিন্তু ওই হকাররা দীর্ঘদিন ধরে ওখানে ব্যবসা করছেন। এখান থেকে তুলে দেওয়া হলে ওঁদের পরিবারের কী হবে? ওঁদের পুনর্বাসনের জন্য রেলের কাছে আর্জি জানাব।” পূর্ব রেলের মুখপাত্র রবি মহাপাত্র বলেন, “যাঁরা রেলের অনুমোদিত হকার নন, তাঁদেরই সরতে বলা হয়েছে। তাঁদের পুনর্বাসন দেওয়া সম্ভব নয়।”