পুলিশের বন্দুকের বাটের ঘায়ে মৃত্যু বৃদ্ধের

তৃণমূল সমর্থক এবং পুলিশের মারে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগকে ঘিরে শুক্রবার উত্তপ্ত হল আরামবাগের হরিণখোলা। মৃত বিজেপি কর্মীর নাম সাদে মানিক খাঁ (৭৮)। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, ওই বৃদ্ধের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ না থাকলেও তাঁকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় তৃণমূল কর্মীরা। পুলিশও তাঁকে নিগ্রহ করে, তার জেরেই প্রাণ হারান বৃদ্ধ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:২০
Share:

তৃণমূল সমর্থক এবং পুলিশের মারে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগকে ঘিরে শুক্রবার উত্তপ্ত হল আরামবাগের হরিণখোলা। মৃত বিজেপি কর্মীর নাম সাদে মানিক খাঁ (৭৮)। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, ওই বৃদ্ধের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ না থাকলেও তাঁকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় তৃণমূল কর্মীরা। পুলিশও তাঁকে নিগ্রহ করে, তার জেরেই প্রাণ হারান বৃদ্ধ।

Advertisement

ঘটনার শুরু রবিবার রাতে। দলীয় পতাকা টাঙানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের কর্মীরা কয়েক জন বিজেপি কর্মীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। তা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হরিণখোলা লাগোয়া অরুণবেড়া, গোলামিচক, দোরজিপোতা, আমগ্রাম এলাকা। সোমবার সকালে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের মারধর, লুঠ ও ঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে জয়নাল খাঁর নেতৃত্বে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের তরফে জয়নালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। যদিও জয়নাল তাঁদের দলের নয়, জানিয়ে দেয় বিজেপি নেতৃত্ব। পুলিশ সূত্রে খবর, জয়নাল এক সময় সিপিআই করতেন। পরে কংগ্রেসে যোগ দেন। গত বছর তাঁর অনুগামীরা বিজেপিতে যোগ দিলেও, নিতে রাজি হয়নি দল। এ দিন সকালে বাজারে যান জয়নালের দাদা সাদে মানিক। প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ীরা জানান, জয়নালের প্রসঙ্গ তুলে বৃদ্ধকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় তৃণমূলের ছেলেরা। পুলিশ তাঁকে বন্দুকের বাট দিয়ে ধাক্কা দিতে দিতে গাড়িতে তোলে। অভিযুক্ত না হয়েও তাঁর বিরুদ্ধে এমন আচরণ নিয়ে প্রতিবাদ করছিলেন বৃদ্ধ। কিন্তু তা না শুনে তাঁকে গাড়িতে তুলে কিছু দূর গিয়ে নামিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে যায় পুলিশ। দেখা যায় বৃদ্ধের জিভ বেরিয়ে এসেছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

এসপি সুনীল চৌধুরীর দাবি, “পুলিশ সাদে মানিককে মারেনি। হরিণখোলায় তৃণমূল কর্মীদের উপরে হামলায় অভিযুক্ত তাঁর ভাইয়ের (জয়নাল) বিষয়ে জেরার সময়ই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পুলিশের পরামর্শে স্থানীয়রাই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। ময়না-তদন্তেও মৃতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন বা ক্ষত মেলেনি।” হাসপাতালের সুপার শান্তনু নন্দী বলেন, “শরীরের বিভিন্ন নমুনা ভিসেরা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন