বিজেপি নেতা-সহ দু’জনকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

তাদের বিরুদ্ধে থানায় বিক্ষোভ দেখানোর ‘অপরাধে’ ধনেখালিতে এক বিজেপি নেতা-সহ দু’জনকে লাঠি-বাঁশ-রড দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে মদনমোহনতলা বাজারের কাছ থেকে গুরুতর জখম অবস্থায় বিজেপির ধনেখালি মণ্ডলের সহ-সভাপতি তারক দেব এবং সমর্থক শেখ মহরম আলি নামে ওই দু’জনকে উদ্ধার করে প্রথমে ধনেখালি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ধনেখালি শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:৪৩
Share:

তাদের বিরুদ্ধে থানায় বিক্ষোভ দেখানোর ‘অপরাধে’ ধনেখালিতে এক বিজেপি নেতা-সহ দু’জনকে লাঠি-বাঁশ-রড দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে মদনমোহনতলা বাজারের কাছ থেকে গুরুতর জখম অবস্থায় বিজেপির ধনেখালি মণ্ডলের সহ-সভাপতি তারক দেব এবং সমর্থক শেখ মহরম আলি নামে ওই দু’জনকে উদ্ধার করে প্রথমে ধনেখালি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রবিবার তাঁদের চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়।

Advertisement

তারকবাবুর বাঁ হাত ভেঙেছে। শরীরেও নানা জায়গায় চোট রয়েছে। শেখ মহরমের বাঁ হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে। তাঁরও সারা দেহে চোট রয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে এই ঘটনা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি স্বপন পাল। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে হুগলি জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘এই ঘটনা বাঞ্ছনীয় নয়। দলের কেউ যুক্ত কিনা, তা ব্লক নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে দেখব। তেমন হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পুলিশ জানায়, আহতেরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে গত শুক্রবার রাজ্যের থানাগুলিতে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সে দিন ওই কর্মসসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন তারকবাবু এবং শেখ মহরমও। মদনমোহনতলা বাজারের কাছে তারকবাবুর বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতির দোকান রয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় ওই দোকানে এসেছিলেন শেখ মহরমও। অভিযোগ, রাত ন’টা নাগাদ জনা পঁচিশ তৃণমূল সমর্থক ওই দোকানে এসে কটূক্তি করতে থাকে। তার পরে তারকবাবু এবং শেখ মহরমকে মারতে মারতে বাইরে নিয়ে এসে রাস্তায় ফেলে বাঁশ, লাঠি এবং রড দিয়ে বেধড়ক পেটায়। তার পরে দু’জনকে রাস্তাতেই ফেলে রেখে চলে যায়। আতঙ্কিত হয়ে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে চলে যান। বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এলে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

Advertisement

ধনেখালিতেই পুলিশ হেফাজতে তৃণমূল নেতা শেখ নাসিরুদ্দিনের মৃত্যু-মামলাটির অন্যতম সাক্ষী শেখ মহরম। তাঁর অভিযোগ, “ওই মামলায় সাক্ষী হওয়ার জন্য তৃণমূল আগেই আমাকে হুমকি দিয়েছিল। এ বার থানায় বিক্ষোভ দেখানোয় মারধর করে সেই রাগও মিটিয়ে নিল।” তারকবাবু বলেন, “বাম জামানায় ধনেখালিতে যে ভাবে সন্ত্রাস চালানো হত, এখন তার থেকেও বেশি আক্রমণ হচ্ছে বিরোধীদের উপর। আমাদের অপরাধ থানায় বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলাম।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন