বাস বন্ধ আট বছর, দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরা

বাউড়িয়া থেকে রানিহাটী। মাত্র পনেরো কিলোমিটার রাস্তায় এক সময় বাস চলত। কিন্তু প্রায় আট বছর ধরে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় এলাকার মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। দিনের পর দিন বেশি ভাড়া গুনে তাঁদের যাতায়াত করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। ফের ওই রুটে বাস চলাচল শুরুর জন্য প্রশাসনের তরফেও কোনও উদ্যোগ নেই বলে তাঁদের অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাউরিয়া শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৪ ০০:৩৯
Share:

বাউড়িয়া থেকে রানিহাটী। মাত্র পনেরো কিলোমিটার রাস্তায় এক সময় বাস চলত। কিন্তু প্রায় আট বছর ধরে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় এলাকার মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। দিনের পর দিন বেশি ভাড়া গুনে তাঁদের যাতায়াত করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। ফের ওই রুটে বাস চলাচল শুরুর জন্য প্রশাসনের তরফেও কোনও উদ্যোগ নেই বলে তাঁদের অভিযোগ।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৮০ সাল নাগাদ উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক রাজকুমার মণ্ডলের তত্ত্বাবধানে এই রুটে ৬১বি নম্বর বাসরুট চালু হয়েছিল। এর ফলে বাউড়িয়া শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকদের সুবিধা হয়েছিল। জুটমিল, কটনমিল, গ্লস্টার কেবল এবং নর্থ জুটমিলের প্রায় হাজার দশেক শ্রমিকেরা এই পথে যাতায়াত করতেন। শুধুু তাই নয়, বাউড়িয়া গার্লস হাইস্কুল, বুড়িখালি ক্ষেত্রমোহন হাইস্কুল, বাসুদেবপুর হাইস্কুল ও একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রচুর ছাত্রছাত্রীও যাতায়াত করত। কিন্তু ২০০৬ সাল থেকে এই রুটের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সমস্যায় পড়েন এলাকার মানুষ। পাঁচলা কুলাই গ্রামের বাসিন্দা সুপ্রকাশ মালিক, পূর্ব বুড়িখালির বাসিন্দা দিলীপ অধিকারী বলেন, “অসুবিধা তো হচ্ছেই, তার ওপর তিনগুণ বেড়ি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বাসে মাত্র ৯ টাকায় গন্তব্যে পৌঁছনো যেত। আর এখন দু-তিন বার অটো বদলে যাওয়া আসার খরচা পড়ে যাচ্ছে ৪০ টাকা।” তা ছাড়া অটোয় যাতায়াতের ক্ষেত্রে ঝুঁকিও রয়েছে। যে ভাবে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে অটোগুলো চলে তাতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

কেন বন্ধ হয়ে বাস?

Advertisement

উত্তম মণ্ডল নামে এক বাসমালিকের কথায়, “বাউড়িয়া শিল্পাঞ্চলে একের পর এক কারখানা, জুটমিল বন্ধের জেরে তখন যাত্রী সংখ্যা কমে যায়। ওই অবস্থায় বাস চালিয়ে লোকসান হচ্ছিল। তা ছাড়া বাসের রুটে অটো ও অন্য যানবাহনও ঢুকে পড়েছিল। লোকসানের বোঝা বাড়তে থাকায় বাধ্য হয়ে বাস বন্ধ করে দিতে হয়। তা ছাড়া প্রয়াত প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী সেই সময় পুরনো বাস চালানো বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ফলে রুটে আর নতুন বাস নামানো সম্ভব হয়নি।”এ প্রসঙ্গে হাওড়া-শিবপুর বাস সিন্ডিকেটের সম্পাদক ইতু খান বলেন, “প্রায় আট বছর ধরে ওই রুটের বাস বন্ধ রয়েছে। তবে যাত্রীদের স্বার্থে ফের যাতে ওই রুটে বাস চালু করা যায় তার চিন্তা-ভাবনা চলছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন