বাসস্ট্যান্ডের সঙ্গে মার্কেট হাব তৈরির উদ্যোগ উদয়নারায়ণপুরে

রাস্তায় যত্রতত্র বাস দাঁড়িয়ে থাকে বাস। মাঝেমধ্যেই যানজটে নাজেহাল হতে হয় উদয়নারায়ণপুরের বাসিন্দাদের। একটি কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডের দাবি তাঁদের দীর্ঘদিনের। এ বার সেই বাসস্ট্যান্ড এবং একই সঙ্গে একটি মাকের্টিং হাব তৈরিতে উদ্যোগী হল হাওড়া জেলা পরিষদ।

Advertisement

মনিরুল ইসলাম

উদয়নারায়ণপুর শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৪ ০১:১০
Share:

রাস্তায় যত্রতত্র বাস দাঁড়িয়ে থাকে বাস। মাঝেমধ্যেই যানজটে নাজেহাল হতে হয় উদয়নারায়ণপুরের বাসিন্দাদের। একটি কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডের দাবি তাঁদের দীর্ঘদিনের। এ বার সেই বাসস্ট্যান্ড এবং একই সঙ্গে একটি মাকের্টিং হাব তৈরিতে উদ্যোগী হল হাওড়া জেলা পরিষদ।

Advertisement

কেন্দ্র সরকারের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের এমএসডিপি (মাল্টি সেক্টোরাল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট) প্রকল্পের টাকায় ওই প্রকল্পটি গড়ার জন্য ব্লক অফিসের অদূরে তিন একর খাসজমিও চিহ্নিত হয়েছে। প্রকল্পের নকশা পাঠানো হয়েছে ওই দফতরে। তা অনুমোদন হলেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলে জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে।

জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কল্যাণ ঘোষ বলেন, “আমরা প্রাথমিক ভাবে প্রকল্পের জন্য যে নকশা করেছিলাম, বিধায়ক তার পরেও কিছু সংযোজনের সুপারিশ করেছিলেন। সেই মতো নতুন নকশা করে সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরে পাঠানো হয়েছে। এ জন্য খরচ ধরা হয়েছে এক কোটি দশ লক্ষ টাকা। নকশা অনুমোদনের পরে অর্থ বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু হবে।”

Advertisement

জেলা পরিষদ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া, ধর্মতলা, তারকেশ্বর-সহ উদয়নারায়ণপুর থেকে গোটা দশেক রুটের বাস ছাড়ে। কিন্তু বাসস্ট্যান্ড না থাকায় বাসগুলি বিভিন্ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে। সৃষ্টি হয় যানজটের। সেই সমস্যা মেটানোর জন্য ২০০৭ সালে তত্‌কালীন বাম পরিচালিত জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে একটি বাসস্ট্যান্ড তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। ব্লক অফিসের কাছে এ জন্য তিন একর খাসজমি বাছা হয়। নকশা অনুমোদনের পরে পরিবহণ দফতর বাসস্ট্যান্ড তৈরির জন্য ১০ লক্ষ টাকা অনুমোদন করে। কিন্তু ওই জমিতে কিছু জবরদখলকারী থাকায় তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে জমি খালি করার প্রক্রিয়া শুরু করতে করতেই বিধানসভা ভোট চলে আসে। রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় চলে আসায় ওই প্রকল্পের কাজ আর গতি পায়নি। গত বছর পঞ্চায়েত ভোটে জেলা পরিষদ বামেদের হাতছাড়া হয়। ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। তার পরেই জেলা পরিষদের নতুন বোর্ড ফের ওই বাসস্ট্যান্ড তৈরিতে উদ্যোগী হয়।

প্রস্তাবিত প্রকল্পের কয়েকটি চ্যানেলে যাতে আট-নয়টি রুটের বাস দাঁড়াতে পারে সেইমতো নকশা বানায় জেলা পরিষদ। কিন্তু তৃণমূল বিধায়ক সমীর পাঁজা ওই বাসস্ট্যান্ডের তিনদিকে ‘মার্কেট হাব’ তৈরিরও সুপারিশ করেন। এর ফলে জেলা পরিষদকে নতুন করে নকশা করতে হয়। তাতেও কিছুটা সময় যায়। নতুন নকশায় মার্কেট হাবে ৪৬ টি দোকান হওয়ার কথা। জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ারদের একাংশ মনে করছেন বাসস্ট্যান্ড ও মার্কেট হাব একসঙ্গে হলে মানুষের যাতায়াতে সমস্যা হবে। বাস ঢোকা বা বেরনোর সময় যানজটের আশঙ্কাও রয়েছে।

অবশ্য সমীরবাবুর দাবি, “যে ভাবে নকশা করা হয়েছে তাতে মানুষের সুবিধাই হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন