বেহাল চার কিলোমিটারে নাকাল বাসিন্দারা

খানাখন্দে ভরা বেহাল রাস্তা। দুর্ঘটনাও ঘটছে অহরহ। কিন্তু রাস্তা সংস্কার নিয়ে প্রশাসনের কোনও মাথাব্যাথাই নেই। এলাকার মানুষের অভিযোগ, উদয়নারায়ণপুরের রথতলা থেকে হরালি কাটাখাল পর্যন্ত এই চার কিলোমিটার রাস্তায় প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উদয়নারায়ণপুর শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৪ ০১:৩৮
Share:

উদয়নারায়ণপুরের রথতলা থেকে হরালি কাটাখাল পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা। ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়।

খানাখন্দে ভরা বেহাল রাস্তা। দুর্ঘটনাও ঘটছে অহরহ। কিন্তু রাস্তা সংস্কার নিয়ে প্রশাসনের কোনও মাথাব্যাথাই নেই। এলাকার মানুষের অভিযোগ, উদয়নারায়ণপুরের রথতলা থেকে হরালি কাটাখাল পর্যন্ত এই চার কিলোমিটার রাস্তায় প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু সাধারণ মানুষের কথা ভেবে রাস্তা সারানোর কোনও গা নেই প্রশাসনের।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে বছর দশেক আগে রাস্তাটি তৈরি হয়েছিল। রাস্তাটি বর্তমানে হরালি উদয়ণপুর এবং কুরচি শিবপুর এই দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। উদয়নারায়ণপুর, হরালি, শিবপুর, পেয়ারাপুর, প্রতাপচক, গজা, সুলতানপুর প্রভৃতি মোট আটটি গ্রামের বহু মানুষকে নিত্য এই পথে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু বছরের পর বছর রাস্তা মেরামত না হওয়ায় যা অবস্থা দাঁড়িয়েছে তাতে যাতায়াত করা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। রাস্তার অধিকাংশ জায়গায় পিচ উঠে গিয়ে বেরিয়ে পড়েছে খোয়া। তার উপর এখানে ওখানে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। যার ফলে গাড়িরও ক্ষতি হচ্ছে বলে যানচালকদের অভিযোগ। খারাপ রাস্তার কারণে রাস্তা থেকে উঠে গিয়েছে ম্যাজিক গাড়ি। এতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।

প্রতাপচকের বাসিন্দা কার্তিক প্রামাণিক এবং উদয়নারায়ণপুরের বাসিন্দা নিমাই আদক বলেন, “এমনিতেই রাস্তার অবস্থা খুবই শোচনীয়। তার উপর বর্ষায় বৃষ্টির জমা জলে কোথায় খানাখন্দ বুঝতে না পারায় দুর্ঘটনা ঘটছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়, কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে। ওই রাস্তা দিয়ে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াই দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়।”

Advertisement

রাস্তার পাশেই রয়েছে হরালি হাইস্কুল, গজা জুনিয়ার হাইস্কুল এবং একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়, পোস্ট অফিস, স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ফলে ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে অসুস্থ মানুষ প্রত্যেককেই এই রাস্তায় যাতায়াত করতে হয়। তবুও রাস্তাটি মেরামত নিয়ে প্রশাসন উদাসীন বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।

হরালি উদয়নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নীলিমা মাল বলেন, “রাস্তাটি তৈরি হওয়ার পরে একবারও মোরামত হয়নি বলে রাস্তার এমন অবস্থা হয়েছে। তা ছাড়া তিন বছর ধরে বন্যার জল এই রাস্তার উপর দিয়েই বয়ে গিয়েছে। তার জন্যও রাস্তা খারাপ হয়েছে। মেরামতের জন্য বেশ কয়েকবার জেলা পরিষদে জানিয়েছি। তবে কাজ এখনও শুরু হয়নি।”

কুরচি শিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দেবশ্রী অধিকারী বলেন, “রাস্তার যা হাল হয়েছে তাতে দ্রুত মেরামতের জন্য জেলা পরিষদে জানিয়েছি।” জেলা পরিষদ পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কল্যাণ ঘোষ বলেন, “কয়েক বছর বন্যার জলের জন্য রাস্তাটি খারাপ হয়ে। তবে এখন মেরামতের ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা চলছে।”

শালাকে খুনে অভিযুক্ত ভগ্নিপতি। শালাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের কাশীপুর থানার নাঙলা গ্রামে। মৃত ব্যক্তির নাম মীর কুচো (৪২)। পুলিশের অনুমান, এই ঘটনার পিছনে একাধিক ব্যক্তির হাত রয়েছে। তবে মূল অভিযুক্ত ভগ্নিপতি ফন্টু মীর ঘটনার পর থেকে পলাতক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন