যত্রতত্র যাত্রী তুলছে টোটো, বিক্ষোভ অটো-চালকদের

রিষড়া, চন্দননগর, চুঁচুড়া, শ্রীরামপুরের পরে এ বার ব্যাটারি-চালিত টোটোর বিরুদ্ধে পথে নামলেন বাঁশবেড়িয়ার বিভিন্ন রুটের অটো-চালকেরা। সোমবার সকালে তাঁরা গাড়ি নিয়ে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান বাঁশবেড়িয়া পুরসভায়। স্মারকলিপি দেন ভাইস-চেয়ারম্যানের কাছে। একই সঙ্গে ডাকযোগে ওই স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছে আঞ্চলিক পরিবহণ অধিকর্তা, মহকুমাশাসক (সদর), জেলাশাসক এবং মগরা থানাতেও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁশবেড়িয়া শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:১০
Share:

এই টোটো গাড়ি নিয়ে উঠেছে বিতর্ক।--নিজস্ব চিত্র।

রিষড়া, চন্দননগর, চুঁচুড়া, শ্রীরামপুরের পরে এ বার ব্যাটারি-চালিত টোটোর বিরুদ্ধে পথে নামলেন বাঁশবেড়িয়ার বিভিন্ন রুটের অটো-চালকেরা। সোমবার সকালে তাঁরা গাড়ি নিয়ে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান বাঁশবেড়িয়া পুরসভায়। স্মারকলিপি দেন ভাইস-চেয়ারম্যানের কাছে। একই সঙ্গে ডাকযোগে ওই স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছে আঞ্চলিক পরিবহণ অধিকর্তা, মহকুমাশাসক (সদর), জেলাশাসক এবং মগরা থানাতেও।

Advertisement

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, টোটো থেকে সরকার কোনও কর পায় না। ওই গাড়ির যাত্রী পরিবহণের কোনও নির্দিষ্ট রুট নেই। শহরের প্রধান রাস্তাগুলিতেও যত্রতত্র টোট দাঁড়ি করিয়ে যাত্রী তুলছেন চালকেরা। ফলে, অটোয় যাত্রী-সংখ্যা কমছে।

বাঁশবেড়িয়া পুরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান অমিত ঘোষ বলেন, “স্মারকলিপি পেয়েছি। জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক এবং জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ অধিকর্তা সৈকত দাস বলেন, “প্রধান রাস্তায় টোটো চলাচলের ক্ষেত্রে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ব্যাপারটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Advertisement

সম্প্রতি একটি জনস্বার্থ মামলায় রিষড়া ও বালির মধ্যে জি টি রোডে টোটো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। তার পরে রিষড়া, চন্দননগর, চুঁচুড়া বা শ্রীরামপুরে জি টি রোডে ওই গাড়ির সংখ্যা কমেছে। কিন্তু বাঁশবেড়িয়ায় তা বেড়েই চলেছে। বাঁশবেড়িয়া পুরসভার অধীন মগরা-চন্দ্রহাটি, ডানলপ-কুন্তীঘাট, ডানলপ ঘাট-মগরা ব্লক অফিস, ত্রিবেণী-শেরপুর, ত্রিবেণী স্টেশন-হুগলি স্টেশন এবং ত্রিবেণী-চুঁচুড়া রুটে প্রায় ৩০০ অটো চলে। সম্প্রতি এই সব রুটে টোটো চলাচলও শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে শহরে অন্তত ৫০টি টোটো ঘোরাফেরা করে। আর এ নিয়েই আপত্তি তুলেছেন অটো-চালকেরা। ইতিমধ্যে কয়েক বার দু’পক্ষের বচসা থেকে মারামারিও হয়।

অটো-চালকদের মধ্যে মানিক ঢালি বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে অটো চালাচ্ছি। সরকারকে সব রকম কর দিই। আইন মেনেই যাত্রী পরিষেবা দিচ্ছি। কিন্তু হঠাৎ করে টোটো রাস্তায় নামায় আমাদের উপার্জন কমছে। ওরা যদি ভিতরের রাস্তায় চলে, তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু প্রধান রাস্তাতেও চলে আসছে। তাই আন্দোলনে নেমেছি।” আইএনটিটিইউসি পরিচালিত ত্রিবেণী অটো ইউনিয়নের সম্পাদক পিন্টু ভট্টাচার্যের দাবি, “বেআইনি ভাবে টোটো চলাচল বন্ধ হওয়া দরকার।” পক্ষান্তরে, টোটো-চালকদের মধ্যে আব্দুল হোসেন বলেন, “অটো-চালকেরা কেন পিছনে লেগেছে, বুঝতে পারছি না। এখানে আগে যখন অন্য যাত্রিবাহী গাড়ি এসেছিল, তখনও ওরা আন্দোলন করেছিল। সেই গাড়ি এখনও অবাধে চলছে। টোটোতে আপত্তি কেন?”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন