রাস্তার দৈর্ঘ্য সাকুল্যে দু’কিলোমিটার। কিন্তু তারই শোচনীয় দশায় নাজেহাল এলাকার মানুষ। বার বার সংস্কারের দাবি উঠলেও কোনও কাজ হয়নি। এ বার তাই অবিলম্বে রাস্তা সংস্কারের দাবিতে শুক্রবার সকাল থেকে খানাকুল-২ ব্লকের জগতপুর পঞ্চায়েত ঘেরাও করলেন এলাকার দু’টি গ্রাম বাসাবাটি এবং জালপোতার শ’পাঁচেক মানুষ। একই সঙ্গে অবরোধ করা হয় পঞ্চায়েত সংলগ্ন আরামবাগ-গড়েরঘাট রাস্তা। পুলিশ গিয়ে অবরোধ তোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। দুপুর ২টো নাগাদ খানাকুল-২ এর বিডিও অনুপকুমার মণ্ডল রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিলে ঘেরাও এবং আবরোধ তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু ঘণ্টা তিনেক ধরে অবরোধের ফলে খানাকুল ২ ব্লক এলাকা থেকে অন্যান্য এলাকার যোগাযোগের মূল রাস্তা বন্ধ থাকায় ব্যাপক অসুবিধায় পড়তে হয় মানুষকে।
রাস্তা সংস্কার প্রসঙ্গে বিডিও বলেন, “এনআরইজিএ বা ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে টাকা না থাকায় ব্লকে রাস্তা সংস্কারের কিছু কাজ এখনই করা যাচ্ছে না। জগৎপুর পঞ্চায়েত প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছি জরুরি ভিত্তিতে সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করে ত্রয়োদশ অর্থ কমিশন, তৃতীয় রাজ্য অর্থ কমিশন বা পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল থেকে ওই রাস্তা সংস্কারের ব্যবস্থা করতে।”
পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের মহুয়া চৌধুরী বলেন, “মাটির ভেঙে যাওয়া ওই রাস্তা বোল্ডার-মোরামের করার দাবি দীর্ঘদিনের। বাম আমলেও কোনও কাজ হয়নি। আমরাও তহবিলের অভাবে কাজটা করতে পারিনি। মানুষের ক্ষোভ থাকাটাই স্বাভাবিক। এ বার বিডিও জরুরি ভিত্তিতে তহবিল সংস্থানের নির্দেশ দিয়েছেন। দেখা যাক তহবিল ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা কাটিয়ে কতটা কি করা যায়।”
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকা বন্যাপ্রবণ। জগৎপুর পঞ্চায়েত এলাকার সংলগ্ন দু’টি গ্রাম বাসাবাটি এবং জালপোতা থেকে খানাকুলের মূল রাস্তা গড়েরঘাটে পৌঁছতে একটি মাটির রাস্তা বাম আমলে তৈরি হয়েছিল। প্রায় প্রতি বছর ডিভিসির ছাড়া জলে কিংবা অতিবর্ষণে প্লাবিত হয়ে ওই রাস্তা ভেঙে যায়। প্রায় ৬ ফুট চওড়া রাস্তাটির অনেক জায়গা এতটাই খারাপ যে, একেবারেই রাস্তা বলে চেনা যায় না।