স্বচ্ছ ভারত অভিযান প্রকল্পে নিয়মবহির্ভূতভাবে শৌচাগার নির্মাণের অভিযোগ উঠল খানাকুল-২ ব্লকের জগৎপুর পঞ্চায়েত এলাকার কিছু গ্রামে। অভিযোগ উঠেছে, দু’টি চেম্বারের বদলে শৌচাগারগুলিতে একটি করে চেম্বার তৈরি করা হয়েছে। তা ছাড়া সেই চেম্বারের মাপ ছোট এবং সিমেন্টের বেড়ির বদলে পোড়া মাটির বেড়ির চেম্বার হয়েছে। এর ফলে এক একটি শৌচাগার পিছু সরকারি ১২ হাজার টাকা বরাদ্দের মধ্যে অন্তত দেড় থেকে দু হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে।
শৌচাগার তৈরিতে এ হেন অনিয়ম নিয়ে উপভোক্তারা সরাসরি প্রতিবাদ না করলেও স্থানীয় মানুষ গণস্বাক্ষর সংবলিত স্মারকলিপি দিয়ে বিডিওর কাছে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। খানাকুল-২ এর বিডিও অনুপকুমার মণ্ডল বলেন, “জগৎপুর পঞ্চায়েত এলাকায় বেশ কিছু শৌচাগার নির্মাণে যে সরকারি বিধি মানা হয়নি তদন্তে তার প্রমাণ মিলেছে। কেন নির্দেশিকা মানা হয়নি তার তদন্ত শুরু হয়েছে। ত্রুটিপূর্ণ শৌচাগারগুলি নিয়ম অনুযায়ী নির্মাণ এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে যথাযথ নির্মাণের জন্য পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শৌচাগার নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশিকা না মানা প্রসঙ্গে জগৎপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান প্রশান্ত মাজির ব্যাখ্যা, “এই এলাকা বন্যাপ্রবণ, প্রয়োজনীয় উঁচু জায়গার অভাবে উপভোক্তাদের চাহিদামতই একটা চেম্বার করা হয়েছে।” মাটির বেড়ের চেম্বার নিয়ে তাঁর যুক্তি, “গ্রামে ওটাই ব্যবহার হয়। সিমেন্টেরই বেড়ি ফেটে গেলেও পোড়া মাটির বেড়িতে ফাট ধরে না।” তবে ওই পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক দেবকুমার মণ্ডল বলেন, “আর যাতে এমন ঘটনা না ঘটে সে জন্য প্রতিটি শৌচাগার নির্মাণের ক্ষেত্রে সরেজমিনে তদারকি করা হবে।” পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, জগৎপুর এবং নন্দনপুর গ্রামে প্রায় ৩০টি শৌচাগার নিয়মবহির্ভূতভাবে তৈরি হয়েছে। সেগুলি ঠিকমতো নির্মাণের প্রক্রিয়া শীঘ্রই শুরু হবে।