স্কুলে মিড-ডে মিলের হিসাবে গরমিলের অভিযোগে বিক্ষোভ

মিড-ডে মিলের হিসেবে গরমিল রয়েছে, এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে তারকেশ্বরের বালিগোড়ি অধরমণি দত্ত বিদ্যামন্দিরে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখালেন এক দল গ্রামবাসী। বিডিও-র মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। গরমিলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। বিডিও প্রভাংশু হালদার বলেন, “গ্রামবাসীদের তরফে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। আগামী শনিবার স্কুলের নথিপত্রের হিসেব মিলিয়ে দেখা হবে। তার ভিত্তিতেই প্রয়োজন অনুসারে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তারকেশ্বর শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৪৭
Share:

প্রধানশিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ স্কুলে। —নিজস্ব চিত্র।

মিড-ডে মিলের হিসেবে গরমিল রয়েছে, এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে তারকেশ্বরের বালিগোড়ি অধরমণি দত্ত বিদ্যামন্দিরে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখালেন এক দল গ্রামবাসী। বিডিও-র মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। গরমিলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।

Advertisement

বিডিও প্রভাংশু হালদার বলেন, “গ্রামবাসীদের তরফে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। আগামী শনিবার স্কুলের নথিপত্রের হিসেব মিলিয়ে দেখা হবে। তার ভিত্তিতেই প্রয়োজন অনুসারে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।” প্রধান শিক্ষক সুভাষ জানার দাবি, “গরমিল দূর অস্ৎ, এর আগে মিড-ডে মিলের বেঁচে যাওয়া প্রায় ১১ লক্ষ টাকা প্রশাসনকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানেও হিসেবপত্র যে একেবারে ঠিক আছে, বিডিও আজ সেটা দেখেছেন। শনিবার নিশ্চয়ই তা আরও ভাল ভাবে বোঝা যাবে।”

প্রশাসন এবং স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, গুরু নানকের জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় ছুটি থাকলেও স্কুলটি এ দিন খোলা ছিল। তবে, এক ছাত্রীর মৃত্যুতে প্রথম পিরিয়ডের পরে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। তার আগেই অবশ্য জাতীয় ছুটি থাকা সত্ত্বেও কেন স্কুল খোলা রয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলে বেশ কিছু অভিভাবক এসে প্রধান শিক্ষক সুভাষ জানার কাছে এসে জবাবদিহি চান। সুভাষবাবুর সঙ্গে তাঁদের বচসা হয়। কিছু ক্ষণের মধ্যেই প্রচুর মানুষ সেখানে জড়ো হয়ে যান। হই-হট্টগোলের মধ্যেই মিড-ডে মিলের হিসেব দেখতে চান কিছু লোক। বিক্ষোভের মাত্রা বাড়ে। গোলমালের খবর পেয়ে বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুমনা ঘোষ-সহ স্থানীয় কয়েক জন জনপ্রতিনিধি ঘটনাস্থলে পৌঁছন। শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীদের দাবি মেনে মিড-ডে মিলের নথিপত্র দেখান প্রধান শিক্ষক। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, সুভাষবাবু সঠিক হিসেব দেখাতে পারেননি। প্রচুর গরমিল রয়েছে। অভিভাবকদের তরফে লিখিত অভিযোগও করা হয় বিডিও-র কাছে। বিডিও বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রের খবর, আগামী শনিবার সরকারি আধিকারিক, জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের প্রতিনিধি, এলাকার জন-প্রতিনিধি এবং স্কুলের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে হিসেবপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে খতিয়ে দেখা হবে। সুমনাদেবী বলে‌ন, “হিসেব নিয়ে গ্রামবাসীরা সন্তুষ্ট হতে পারেননি। শনিবার প্রশাসনিক তদন্তেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। সেই মতো পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

এ দিন স্কুল খোলা রাখা নিয়ে প্রধান শিক্ষকের দাবি, “দিনটা স্কুলের ছুটির তালিকাভুক্ত ছিল না। তাই প্রধান শিক্ষক হিসেবে স্কুল খোলা রাখা আমার দায়িত্ব ছিল। তবে, এক ছাত্রীর মৃত্যুতে প্রথম পিরিয়ডের পরে স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়।” কিছু শিক্ষক এবং পরিচালন সমিতির সদস্য অবশ্য তাঁর ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন