কলকাতায় দলীয় সভা থেকে রবিবার বাসে করে ফেরার পথে হরিপালের গোপীনাথপুরে আক্রান্ত হলেন খানাকুলের কিছু বিজেপি কর্মী-সমর্থক। বাসটিতে ভাঙচুর চালিয়ে বিজেপি কর্মীদের নামিয়ে তৃণমূলের লোকজন বাঁশ ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায় এবং কয়েক জনকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। মারধরে জখম ৯ জনকে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খানাকুল-২ ব্লকের শাবলসিংহপুর পঞ্চায়েত এলাকা থেকে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ছ’টি বাস এ দিন কলকাতায় যায়। ফেরার সময়ে রাত ৮টা নাগাদ সামনের বাসটিকে গোপীনাথপুরে আটকানো হয়। তার পরেই ওই গোলমাল। খবর পেয়ে তারকেশ্বর ও হরিপাল থানা থেকে পুলিশ যায়। পরে আরামবাগের সামতাতেও খানাকুলগামী বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের একটি বাসে ইট ছুড়ে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সকালে সভায় যাওয়ার পথেও আরামবাগ স্টেশনে কয়েক জন বিজেপি কর্মীকে তৃণমূলের ছেলেরা মারধর করে বলে অভিযোগ।
হরিপালের ঘটনায় জখম, হাসপাতালে চিকিত্সাধীন বিজেপি কর্মী নারায়ণ হাজরা বলেন, “লরি দিয়ে রাস্তা আটকে ওরা স্লোগান দিতে দিতে এসে প্রথমে বাসের সামনের কাচ ভাঙে। তার পরে আমাদের নামিয়ে পেটায়। কয়েক জনকে টেনে নিয়ে চলে যায়। পিছনে আমাদের আরও পাঁচটি বাস চলে এলে তৃণমূলের ছেলেরা পালায়।”
খানাকুল-২ ব্লক বিজেপি মণ্ডল সভাপতি বিকাশ দলুইয়ের অভিযোগ, “ওই বাসে মোট ৩০ জন ছিলেন। আমরা ৯ জনকে উদ্ধার করতে পেরেছি। পরে তিন জনের খোঁজ পাই। ১৮ জন এখনও নিখোঁজ। থানায় জানিয়েছি।” হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বলেন, “বিষয়টি জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখব।”