১০০ দিনের কাজে প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে রাস্তা নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল সিপিএম পরিচালিত জগৎবল্লভপুরের মাজু পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে। শুক্রবার জেলাশাসক-সহ প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে ওই অভিযোগে তৃণমূল জানায়, রাস্তার কোনও কাজ হয়নি, উল্টে এ বাবদ বরাদ্দ করা টাকা প্রধান সই করে ব্যাঙ্ক থেকে তুলে নিয়েছেন। অভিযোগ নিয়ে ব্লক প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধান অশোক মান্না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জগৎবল্লভপুর শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৫৭
Share:

১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে রাস্তা নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল সিপিএম পরিচালিত জগৎবল্লভপুরের মাজু পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে। শুক্রবার জেলাশাসক-সহ প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে ওই অভিযোগে তৃণমূল জানায়, রাস্তার কোনও কাজ হয়নি, উল্টে এ বাবদ বরাদ্দ করা টাকা প্রধান সই করে ব্যাঙ্ক থেকে তুলে নিয়েছেন। অভিযোগ নিয়ে ব্লক প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধান অশোক মান্না।

Advertisement

ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, মউলগাছি গ্রামে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে তিন কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কথা ছিল। গত ৭ জানুয়ারি সেই কাজ শুরু করার কথা ছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সে দিন রাজ্য জুড়ে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে যে ৩৫ হাজার রাস্তার কাজের সূচনা হয় এটি ছিল তার অন্তর্ভূক্ত। কাজটির জন্য ২ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। তার মধ্যে শ্রমিকদের মজুরি খাতে বরাদ্দ হয় ২ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা। বাকি টাকা বরাদ্দ হয় জিনিসপত্র কেনার জন্য। তৃণমূলের অভিযোগ, খরচ দেখিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে নেওয়া হলেও ওই রাস্তায় কোনও কাজ হয়নি। ফেলা হয়নি এক ঝুড়িও মাটি। মউলগাছির বাসিন্দা তথা ব্লক যুব তৃণমূল সহ-সভাপতি প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে আমাদের গ্রামে পঞ্চায়েত কোনও কাজ করে না। আমরা ব্লক অফিসে অভিযোগ জানাতে গিয়ে জানতে পারি, এখানে নাকি রাস্তার কাজে ২ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। সেই টাকায় কাজও হয়েছে। টাকা মেটানোও হয়েছে। অথচ, গ্রামে গত এক বছরে কোনও কাজই হয়নি।” ব্লক অফিস থেকে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত বিবরণ পাওয়ার পরেই তাঁরা লিখিত অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নেন বলে প্রদীপবাবু জানান। অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান অশোক মান্নার দাবি, “ওই রাস্তার কাজের পরিকল্পনা আমাদের দিয়েছিল পঞ্চায়েত সমিতি। তারা জোর করে কাজটি আমাদের ঘাড়ে চাপায়। শেষ পর্যন্ত পরিকল্পনাটির কিছুটা রদবদল করে আমরা কাজটি করি। তার ফলেই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। আর তার সুযোগ নিচ্ছে তৃণমূল।” তৃণমূল শাসিত পঞ্চায়েত সমিতি নিয়মিত কাজটির তদারকি করেছে বলেও প্রধান দাবি করেছেন।

পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোরা ইব্রাহিম প্রধানের দাবি মানেননি। তাঁর পাল্টা দাবি, “আমরা ওই পঞ্চায়েতে সমিতির পক্ষ থেকে কোনও পরিকল্পনা চাপিয়ে দিইনি। ওরা নিজেরাই কাজটির পরিকল্পনা করেছিল। ১০০ দিনের কাজের তদারকি করা সমিতির কাজ নয়। তদন্তে সত্য প্রকাশিত হবে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন