প্রতীকী ছবি।
মঙ্গলবার অলোক বর্মাকে ফের সিবিআইয়ের ডিরেক্টর পদে বসিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ঘটনাচক্রে, প্রায় একই সময়ে সিবিআইয়ের ছ’জন অফিসারকে জেরা করতে চেয়ে নোটিস পাঠিয়েছে হাওড়া পুলিশ। ওই ছ’জনের মধ্যে পুলিশ সুপার পদমর্যাদার অফিসারও রয়েছেন বলে খবর। কলকাতা পুলিশ আবার রোজ ভ্যালির একটি হোটেল সংক্রান্ত মামলায় সিবিআইয়ের কাছে পাঠানো প্রশ্নাবলির জবাব চেয়েছে। কাকতালীয় হলেও, যে দু’টি মামলার সূত্রে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে, তার সঙ্গে এখনও ছুটিতে থাকা সিবিআইয়ের স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার যোগসূত্র রয়েছে।
গত বছর ঘুষ নেওয়ার সময়ে ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার রাঁচীর এক অফিসারকে হাতেনাতে ধরে ফেলে সিবিআইয়ের দিল্লির একটি দল। সেই মামলার সূত্রেই কলকাতার ব্যবসায়ী দীপেশ চন্দকের খোঁজে শহরে আসে দিল্লির ওই দল। দীপেশ আবার বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির রাজসাক্ষী। রাকেশ আস্থানা একদা ওই মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন। দীপক তাঁর পূর্বপরিচিত। গত ১৭ অগস্ট দীপককে গ্রেফতার করে রাঁচীর উদ্দেশে রওনা দেয় সিবিআইয়ের দলটি। কিন্তু রাত পৌনে দশটা নাগাদ হাওড়ার ফোরশোর রোড থেকে উধাও হয়ে যান ওই ব্যবসায়ী ও তাঁর এক সঙ্গী। গাড়িতে নথিপত্র বোঝাই সিবিআই অফিসারের নিয়ে যান তাঁরা।
পরের দিন হাওড়া সদর থানায় চুরির মামলা রুজু করেন সিবিআইয়ের দিল্লির এক অফিসার। এর পরই ৩১ অগস্ট সিবিআইয়ের দিল্লির অফিসার সুনীল মিনা এবং এস দাসকে ডেকে পাঠিয়ে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে হাওড়া পুলিশ। ৬ সেপ্টেম্বর ডেকে পাঠানো হয় সিবিআইয়ের কলকাতা শাখার ইনস্পেক্টর অমিতাভ দাসকে। তাঁকে সারাদিন আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করার অভিযোগ তুলেছে সিবিআই। এ বার ৬ অফিসারকে আগামী ১৪-১৫ জানুয়ারি ফের হাওড়া পুলিশের কাছে হাজির হতে বলে নোটিস গিয়েছে। যদিও তাঁরা পুলিশের কাছে হাজির হবেন, তেমন কোনও এখনই ইঙ্গিত নেই। বরং হাওড়া পুলিশের কর্তাদেরই দিল্লিতে সদর দফতরে ডাকার পরিকল্পনা রয়েছে সিবিআইয়ের।
এ দিকে, রোজ ভ্যালির একটি হোটেলের সামনে আমানতকারীদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে বালিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছে কলকাতা পুলিশ। তার সূত্রেই রোজ ভ্যালি মামলার তদারককারী রাকেশ আস্থানাকে প্রশ্নাবলি পাঠিয়েছিলেন থানার এক অফিসার। জবাব না-আসায় ফের চিঠি পাঠানো হয়েছে সিবিআই-কে। সিবিআই দাবি করেছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চলা তদন্তে এ ভাবে নাক গলাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। তাই সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারকেই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হতে বলে পাল্টা নোটিস পাঠাচ্ছে সিবিআই।