দক্ষিণ ভারতের দুর্যোগে আক্রান্ত হাওড়া লাইনের রেল পরিষেবাও

মঙ্গলবারও প্রায় দুপুর পর্যন্ত ঝড় বৃষ্টি চলায় কলকাতা থেকে চেন্নাইমুখী বেশির ভাগ ট্রেন এদিনও বাতিল হয়েছে। আবহাওয়ার উন্নতি না হলে বুধবারও বেশির ভাগ ট্রেন বাতিল থাকার সম্ভবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ-পর্ব রেলের কর্তারা। ট্রেন না চলাচল করায় হাওড়া ও চেন্নাই মিলিয়ে আটকে পড়ছেন প্রায় হাজার ২০ যাত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৫ ১৯:২৭
Share:

মঙ্গলবারও প্রায় দুপুর পর্যন্ত ঝড় বৃষ্টি চলায় কলকাতা থেকে চেন্নাইমুখী বেশির ভাগ ট্রেন এদিনও বাতিল হয়েছে। আবহাওয়ার উন্নতি না হলে বুধবারও বেশির ভাগ ট্রেন বাতিল থাকার সম্ভবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ-পর্ব রেলের কর্তারা। ট্রেন না চলাচল করায় হাওড়া ও চেন্নাই মিলিয়ে আটকে পড়ছেন প্রায় হাজার ২০ যাত্রী। আটকে পড়া যাত্রীদের গন্তব্যে ফিরিয়ে দিতে রেল বোর্ড থেকে সংশ্লিষ্ট জোনগুলিকে সব রকম সাহায্য কররার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

মৌসম ভবন সূত্রের খবর, গত তিন-চার দিন ধরে তামিলনাড়ু উপকূল লাগোয়া বিরাট এলাকা জুড়ে একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় ওই সব এলাকায় ভারি বৃষ্টি চলছে। অনেক জায়গায় রেল লাইন এমনকি সেতুর প্রায় গা- ঘেঁষে জল বইতে শুরু করায় আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ট্রেন চলাচল। শুধু দূর পাল্লারই নয়, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে চেন্নাইয়ের লোকাল ট্রেনগুলিকেও। গত তিন দিনের বৃষ্টিতে পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে দক্ষিণের রেল যোগাযোগ প্রায় বন্ধ করে দিতে হয়েছে। তবে মঙ্গলবার বিকেলের পর পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় লাইন মেরামতির কাজ শুরু করা গিয়েছে।

রেল সূত্রের খবর, মঙ্গলবারও চেন্নাইয়ের আপ ও ডাউন মিলিয়ে বাতিল করা হয়েছে, ১৫টি দূরপাল্লার ট্রেন। এদিন শুধু হাওড়া, শালিমার ও সাঁতরাগাছি থেকেই বাতিল করা হয়েছে, শালিমার-চেন্নাই এক্সপ্রেস, হাওড়া-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস, সাঁতরাগাছি-চেন্নাই বাতানুকূল এক্সপ্রেস, শালিমার-তিরুবানন্দপুরম এক্সপ্রেস, ও হাওড়া চেন্নাই মেল সহ আরও তিনটি এক্সপ্রেস ট্রেন। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কর্তারা জানিয়েছেন, আচমকা দুর্যোগের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে দক্ষিণ রেল ও দক্ষিণ-মধ্য রেলের কর্তাদের সঙ্গে। ওই দুই জোন থেকে সবুজ সঙ্কেত মিললেই আবার ট্রেন চালানো শুরু হবে।

Advertisement

সোমবার বেশি রাত থেকে আচমকা বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায়, যে ট্রেনগুলি ইতিমধ্যেই ছেড়ে মাঝপথে রয়েছে সেই সব ট্রেনের যাত্রীরাই চুড়ান্ত দুর্ভোগে পড়ছেন। মাঝপথে আটকে পড়ায় ট্রেনে খাবার ও পানীয় জলের অভাব দেখা দিয়েছে। চেন্নাইমুখী ও চেন্নাই থেকে হাওড়াগামী ট্রেনগুলিতে প্রায় ৪০ শতাংশ যাত্রী রোগী যাওয়া আসা করেন। কিন্তু মাঝপথে ট্রেন আটকে পড়ায় রোগীদের নিয়ে মুশকিলে পড়ে

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন