মেয়াদ উত্তীর্ণ বোর্ডে কাউন্সিলরেরা কাজ করতে পারছেন না। এই অবস্থায় পুর পরিষেবা চালু রাখতে হাওড়া পুরসভায় দলের ওয়ার্ড সভাপতিদের বিশেষ দায়িত্ব দিল তৃণমূল। সব কাজ করতে না পারলেও বিভিন্ন প্রয়োজনে সাংসদ ও বিধায়কদের সংশাপত্র বিলি করার ব্যবস্থা করতে তাঁদের দায়িত্ব দিলেন দলের জেলা নেতৃত্ব।
মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় রাজ্যের একাধিক পুরসভার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রশাসকের হাতে। এই অবস্থায় বাসিন্দাদের দৈনন্দিন প্রয়োজন নিয়ে সমস্যাও তৈরি হয়েছে। শনিবার পুর এলাকার ৫ বিধায়ক ও সাংসদের উপস্থিতিতেই এই বিকল্প ব্যবস্থা ঠিক করা হয়। পরে জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ রায় বলেন, ‘‘কাউন্সিলরেরা না থাকলেও নাগরিক পরিষেবায় যাতে ত্রুটি না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে এই সংশাপত্র নিয়ে মানুষের যাতে হয়রানি না হয়, তাই দলের তরফে তা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা হবে।’’ অরূপবাবু এ দিন ৬৬টি ওর্য়াডের দলীয় সভাপতি ও র্কাযকরী সভাপতিদের একটা নামের তালিকাও প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘‘যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হল তাঁরা প্রত্যেকে দায়িত্বশীল নেতা। তাই তাঁদের স্বাক্ষর করা বিভিন্ন শংসাপত্র অপব্যবহার হবে না বলেই মনে হয়।’’
বিদায়ী কাউন্সিলরদের কোনও দায়িত্ব না দেওয়া হলেও দলের সভাপতি জানান, তাঁরা সমব্যাথী সহ বিভিন্ন শংসাপত্র দিতে পারবেন। মধ্য হাওড়ার বিধায়ক অরূপবাবু ছাড়াও বিধায়ক লক্ষীরতন শুক্লা, ব্রজমোহন মজুমদার, জটু লাহিড়ী, বৈশালী ডালমিয়া ও সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।