সংখ্যালঘুদের মন পেতে ঢালাও বৃত্তি

সংখ্যালঘুদের মন পেতে বেশি করে বৃত্তি দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয়েছে রাজ্যে। চলতি বছরে অনলাইনে ৩৪ লক্ষের বেশি আবেদন জমা পড়েছে রাজ্যের সংখ্যালঘু বিত্ত নিগমের ওয়েবসাইটে। বৃত্তি দেওয়ার জন্য খরচ হবে ১০২০ কোটি টাকা।

Advertisement

সোমনাথ চক্রবর্তী ও মেহবুব কাদের চৌধুরী

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:৩৯
Share:

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সংখ্যালঘুদের মন পেতে বেশি করে বৃত্তি দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয়েছে রাজ্যে। চলতি বছরে অনলাইনে ৩৪ লক্ষের বেশি আবেদন জমা পড়েছে রাজ্যের সংখ্যালঘু বিত্ত নিগমের ওয়েবসাইটে। বৃত্তি দেওয়ার জন্য খরচ হবে ১০২০ কোটি টাকা। নিগম সূত্রে বলা হয়, কেন্দ্র এই খাতে টাকা দেয়। সেই টাকায় না-কুলোলে বাকিটা রাজ্য সরকার মিটিয়ে দেবে।

Advertisement

সংখ্যালঘু দফতরের খবর, প্রতি বছর প্রথম শ্রেণি থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি দেয় সংখ্যালঘু বিত্ত নিগম। ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষে বৃত্তির জন্য অনলাইনে আবেদনের সংখ্যা ৩৪ লক্ষ ২৭ হাজার ৫০৫। এত আবেদনপত্র এর আগে কখনও জমা পড়েনি।

ওই নিগমের এক কর্তা জানান, প্রি-ম্যাট্রিক, পোস্ট-ম্যাট্রিক, মেরিট কাম মিনস এবং ট্যালেন্ট সাপোর্ট স্টাইপেন্ড, মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং-সহ উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি দেয় সরকার। তার পরিমাণ বছরে এক হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। ৫০, ৬০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ পড়ুয়ারা সংখ্যালঘু বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারেন।

Advertisement

এ বছর রেকর্ড সংখ্যক আবেদনপত্র জমা পড়ার কারণ কী?

নিগমের খবর, কয়েক মাস আগে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসায় সমীক্ষা চালিয়ে দেখা যায়, সংখ্যালঘু পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৫৪ লক্ষ। কিন্তু সেই অনুযায়ী আবেদন জমা পড়ছে না। তার পরেই প্রচারের ব্যবস্থা হয়। সংস্থার চেয়ারম্যান পি বি সেলিম বলেন, ‘‘গত বছর মাত্র ২৫ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছিল। নিগমের তরফে প্রচার চালানোয় এ বার সংখ্যাটা প্রায় ১০ লক্ষ বেড়েছে।’’

নিগমের আধিকারিকদের জেলায় জেলায় পাঠিয়ে ব্লক স্তরে কর্মশালার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেপ্টেম্বরে কর্মশালা হয় টানা ১৫ দিন। প্রধান শিক্ষক, বিডিও-দের সচেতনতামূলক কর্মসূচিরও ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

নিগমের চেয়ারম্যান জানান, বৃত্তির পুরো টাকাই কেন্দ্রের দেওয়ার কথা। কিন্তু গত বছর ২৫ লক্ষ আবেদনকারীর মধ্যে মাত্র ১৩ লক্ষ পড়ুয়ার বৃত্তির টাকা দিয়েছিল দিল্লি। বাকি ১২ লক্ষের জন্য প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা দেয় রাজ্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন