West Bengal News

শহিদ দিবসে বড়সড় ভাঙন কংগ্রেসে, সিপিএম বিধায়কও গেলেন তৃণমূলে

শহিদ স্মরণের দিনে ফের বিরোধী শিবিরে উল্লেখযোগ্য ভাঙন ধরিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস এবং সিপিএম ছেড়ে দুই বিধায়ক যোগ দিলেন তৃণমূলে। কংগ্রেসের হাত থেকে কালিয়াগঞ্জের পুরবোর্ড ছিনিয়ে নিল তৃণমূল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৬ ১৩:৩০
Share:

ধর্মতলার সমাবেশে জনজোয়ার। — নিজস্ব চিত্র।

শহিদ স্মরণের দিনে ফের বিরোধী শিবিরে উল্লেখযোগ্য ভাঙন ধরিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস এবং সিপিএম ছেড়ে দুই বিধায়ক যোগ দিলেন তৃণমূলে। কংগ্রেসের হাত থেকে কালিয়াগঞ্জের পুরবোর্ড ছিনিয়ে নিল তৃণমূল। খড়্গপুর পুরসভার বিরোধী দলনেতা সহ পাঁচ কংগ্রেস কাউন্সিলরও তৃণমূলে সামিল হলেন শহিদ দিবসের মঞ্চে। পুরুলিয়া পুরসভার দুই বিরোধী কাউন্সিলরও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।

Advertisement

পরম্পরা অক্ষুণ্ণ রাখল তৃণমূল। ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই শহিদ দিবসের সমাবেশে কংগ্রেস নেতা বা জনপ্রতিনিধিদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ানো প্রায় অভ্যাসে পরিণত করেছিলেন মমতা। দ্বিতীয় বার ক্ষমতা দখল করার পর প্রথম শহিদ সমাবেশেও সেই অভ্যাস বজায় রইল। বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের কংগ্রেস বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য যে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন, সে জল্পনা দিন কয়েক আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল। প্রাক্তন বস্ত্রমন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে হারিয়ে এ বার বিষ্ণুপুরে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরে তিনি নিজেই তৃণমূলে যোগ দিতে আগ্রহী হন এবং তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তৃণমূল ভবন সূত্রের খবর ছিল, এখনই বিরোধী দল থেকে তৃণমূলে যোগ দিতে আগ্রহীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে বিপুল জনমত তাঁর পক্ষে গিয়েছে, তাতে বিরোধী দল থেকে আর কাউকে দলে আনতে মমতা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না বলেই শোনা যাচ্ছিল। তবে সব জল্পনা উড়িয়ে তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের মঞ্চ ফের সাক্ষী থাকল বিরোধী দলে ভাঙনে। কংগ্রেস বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য প্রত্যাশিত ভাবেই তৃণমূলে সামিল হলেন। কিন্তু বেশ খানিকটা চমকে দিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন মালদহের গাজোলের সিপিএম বিধায়ক দীপালি বিশ্বাসও।

আরও পড়ুন: ২১ জুলাই সমাবেশের নানা ছবি, নানা মুহূর্ত

Advertisement

দীপা দাশমুন্সির খাসতালুকে কংগ্রেসের এই ভাঙনকে তৃণমূল উল্লেখযোগ্য বলেই মনে করছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যেই তার প্রমাণ মিলেছে। শহিদ স্মরণের মঞ্চ থেকে নিজের বক্তৃতায় অভিযেক বলেন, ‘‘দীপা দাশমুন্সি ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে এসেছিলেন। আজ তাঁর নিজের এলাকা কালিয়াগঞ্জের পুরবোর্ডই তৃণমূলে চলে এল। নিজের ঘর সামলাতে পারেন না, লড়তে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।’’

পুরুলিয়া পুরসভার দুই বিরোধী কাউন্সিলরও এ দিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। যোগ দিয়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের এক সম্পাদক এবং জিএনএলএফ-এর প্রয়াত নেতা তথা পূর্বতন দার্জিলিং গোর্খা পার্বত্য পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবাস ঘিসিং-এর পুত্রও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন