কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ফাইল চিত্র।
অমিত শাহ দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে রথযাত্রা হবেই। সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন এ রাজ্যের শাসকদলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এ বার অমিতের সেই সুর শোনা গেল পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের গলাতেও। অমিতের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনেই তিনি জানান, রথযাত্রা আটকাতে তৃণমূল যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, রাজ্যে তা বার করবেই বিজেপি। পাশাপাশি তিনি এটাও জানান, হাইকোর্টে অনুমতি না মিললে প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন তাঁরা।
শুক্রবার কোচবিহারে ‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা’ সমাবেশের আয়োজন করেছিল রাজ্য বিজেপি। রাজ্যে রথযাত্রা উপলক্ষে এই আয়োজন ছিল। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের আসার কথা ছিল ওই সভায়। টান টান উত্তেজনা ছিল ওই সভাকে ঘিরে। কী বলবেন অমিত শাহ তা শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলেন নেতা-কর্মীরা। কিন্তু বেলা একটু গড়াতেই খবর আসে শাহ আসছেন না। তবে তিনি দিল্লি থেকেই সাংবাদিক বৈঠক করে রথযাত্রা নিয়ে মমতা ও তাঁর সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন।
এ দিন দুপুরে কৈলাস সাংবাদিকদের বলেন, “রথযাত্রা নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে চার বার আবেদন করা হয়েছিল। কোনও উত্তর মেলেনি। রাজ্যপালকেও বিষয়টা জানানো হয়। এর পর আদালতের দ্বারস্থ হই।” রথযাত্রায় অনুমতির বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেও সেখানে স্বস্তি মেলেনি বিজেপির। আদালত জানিয়ে দেয় রথযাত্রা স্থগিত রাখতে হবে। আপাতত এই মামলাটি আদালতের বিচারাধীন। কৈলাস এ প্রসঙ্গে জানান, আদালতের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছে দল। তাঁদের আশা, রায় দলের পক্ষেই যাবে। তবে আদালত যে রায় দিক না কেন তাকে সম্মান জানাবে বিজেপি।
আরও পড়ুন: বাংলায় গণতন্ত্র শেষ, মমতার বিরুদ্ধে তোপ দেগে অমিত বললেন রথযাত্রা হবেই
আরও পড়ুন: নারদ মামলায় শোভনের সঙ্গেই এ বার ইডি-র জেরা বৈশাখীকে
পাশাপাশি তিনি এটাও মনে করিয়ে দেন, যাত্রা স্থগিত হয়েছে, বাতিল নয়। সরকার দমননীতির মাধ্যমে রথযাত্রাকে আটকাতে চাইলেও, সে কাজে সফল হবেন না মমতা বলে মন্তব্য করেন কৈলাস। তিনি বলেন, “বিজেপির রাজনৈতিক কাজে বাধা দেওয়ার অধিকার নেই মমতার। বাংলায় তোষণের রাজনীতি চলছে, অরাজকতা চলছে।” তাঁর হুঁশিয়ারি, বাংলাকে অরাজকতার হাত থেকে বাঁচাতে যদি আরও বলিদান দিতে হতে হয়, তার জন্য প্রস্তুত দল।