খড়্গপুরের আইআইটি ক্যাম্পাসে অস্বস্তির হাওয়া এনে দিল মৈনাক-কাণ্ড

খবরটা বৃহস্পতিবারই ছড়িয়ে পড়েছিল আইআইটি খড়্গপুরের ক্যাম্পাসে। তাঁদেরই এক প্রাক্তনী দাগী খুনির মতো এমন কাণ্ড ঘটাতে পারেন! প্রথমটায় বিশ্বাস করতে পারছিলেন না আইআইটির বর্তমান পড়ুয়ারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়গপুর শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৬ ১৯:০২
Share:

খবরটা বৃহস্পতিবারই ছড়িয়ে পড়েছিল আইআইটি খড়্গপুরের ক্যাম্পাসে। তাঁদেরই এক প্রাক্তনী দাগী খুনির মতো এমন কাণ্ড ঘটাতে পারেন! প্রথমটায় বিশ্বাস করতে পারছিলেন না আইআইটির বর্তমান পড়ুয়ারা।

Advertisement

আইআইটির এয়ারোস্পেস ডিপার্টমেন্টে ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত পড়েছিলেন মৈনাক। এই ঘটনায় তাঁদের প্রতিষ্ঠানের নাম জড়িয়ে গেছে। স্বভাবতই কিছুটা অস্বস্তিতে গোটা ক্যাম্পাস। এরপর বিদেশে পড়তে বা অন্য কাজে গেলে অকারণে সমস্যার মুখে পড়তে হবে না তো!

এয়ারোস্পেস বিভাগের পাশের ক্যান্টিনে এখন আলোচনার বিষয় শুধুই মৈনাক সরকার। পড়ুয়াদের চোখেমুখে বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট। খড়গপুর আইআইটির কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের ছাত্র শঙ্খ কর্মকার। এই ঘটনায় আইআইটি’র নাম জড়িয়ে যাওয়ায় তিনি বেশ চিন্তায়। শঙ্খ বলেন, ‘আইইটির এই প্রাক্তন ছাত্র কোন মানসিক চাপে পড়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন সেটা এখানে বসে বলা সম্ভব নয়। তবু এই ধরনের ঘটনা কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছি না।’ ওই বিভাগেরই আরও এক ছাত্র অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘এই ফিল্ডে কোড চুরির ঘটনার খবর প্রায়শই এখন শোনা যাচ্ছে। যা খুবই দুঃখজনক। যদি তা সত্যি হয় তাহলেও মৈনাকের উচিত ছিল অধ্যাপকের সঙ্গে ভাল ভাবে আলোচনা করে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া। কিন্তু উনি যা করেছেন তাতে শুধুমাত্র আইআইটি’র স্টুডেন্ট হিসেবে নয় ভারতীয় হিসেবেও খুব লজ্জা লাগছে।’

Advertisement

কী ধরনের মানসিক চাপের মধ্যে মৈনাকের সময় কাটছিল? বা তাঁর সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল? যার জেরে তিনি এই মারাত্মক সিদ্ধান্ত নিলেন, এই প্রশ্নটা এখন সকলেরই। অরিন্দম আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় মৈনাক কিছুটা মানসিক চাপেই ছিলেন। আমাদের আইআইটি’র স্টুডেন্টদের অনেক ধরনের মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু সেগুলো সামলানোর জন্য খড়গপুর আইআইটিতে কাউন্সেলিং এর ব্যবস্থাও রয়েছে। মৈনাক সেই প্রশিক্ষণ নিয়েও ঠিক মতো কাজে লাগাতে পারলেন না। তিনি যা করেছেন তা খুবই নিন্দনীয়।’

আরও পড়ুন:মৈনাককে ‘বুড়ো’ বলেই চেনে দুর্গাপুরের পাড়া

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন