ফাইল চিত্র।
মঞ্চের একপাশে নেতাজির ছবি, অন্য প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। পুরাতন মালদহের সাহাপুরে অমিত শাহের জনসভার মঞ্চ এই ভাবেই সাজানো হয়েছিল। আজ, বুধবার নেতাজির জন্মজয়ন্তী। এই দিনটায় পাহাড়ে কোনও না কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বুধবারও তেমনই অনুষ্ঠানে থাকবেন তিনি। তার এক দিন আগে প্রচারসভা থেকে বারবার নেতাজির নাম করলেন অমিত। বোঝাতে চাইলেন, নেতাজি থেকে রবীন্দ্রনাথ, এমনকি চৈতন্যদেবও বিজেপির হৃদ মাঝারে।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, “কংগ্রেস সরকার নেতাজিকে মানুষের মন থেকে ভুলিয়ে দিতে চেয়েছে। আর সুভাষ বসুর জীবনকে, তাঁর দেশভক্তিকে, কাজকে, তাঁর বাংলাকে অমর করে রাখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের নাম সুভাষ-স্বরাজ-শহিদ নাম রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” সেই সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণের মতো বাংলার মনীষীদের নাম টেনে বিভিন্ন বিষয়ে মমতার সমালোচনা করেন তিনি।
অমিত আরও বলেন, “সুভাষবাবু, বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের এই বাংলা। বাংলায় এখন আর রবীন্দ্রসঙ্গীত বাজে না। সর্বত্র বোমা, গুলির শব্দ। সামনের নির্বাচন সুভাষ বসুদের বাংলা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্বাচন।” অমিতের এই কথার তীব্র সমালোচনা করেছেন তৃণমূল নেতারা। রাজ্য নেতাদের অনেকেরই কথায়, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে সুভাষবাবু বললেই বাংলার মানুষের মন পাওয়া যায় না। বিজেপির মতো সাম্প্রদায়িক দলের নেতাদের মুখে নেতাজির নাম মানায় না, কটাক্ষ তাঁদের। তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, “মঞ্চে নিজেদের ছবির পাশাপাশি নেতাজির ছবি ব্যবহার করছে বিজেপি। অথচ নেতাজির চরণে একটিও ফুল দিলেন না তাঁরা!”