প্রতীকী ছবি।
চাহিদা বাড়তে দেখে একের পর এক বাংলা মাধ্যমের স্কুলে ইংরেজি মাধ্যম বিভাগ খুলছে রাজ্য সরকার। আরও বেশ কিছু স্কুলে ইংরেজিতে পঠনপাঠন চালু করার পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের। কিন্তু অভিযোগ উঠছে, ওই সব স্কুলে ইংরেজিতে সাবলীল ভাবে পড়ানোর মতো শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।
শিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানান, ইংরেজি মাধ্যমে পড়ে আসা শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা যে যথেষ্ট নয়, সেটা তাঁরা ইতিমধ্যেই বুঝতে পেরেছেন। তাই এর পরে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি-র মাধ্যমে স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের যে-বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে, সেখানে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করে আসা প্রার্থীর কথাও আলাদা ভাবে উল্লেখ করার ব্যবস্থা হচ্ছে। ওই শিক্ষাকর্তা বলেন, ‘‘এক-একটি ইংরেজি স্কুলে ইংরেজিতে পড়াতে দক্ষ চার থেকে পাঁচ জন শিক্ষকের প্রয়োজন। অদূর ভবিষ্যতে সংখ্যাটা অনেকটাই বাড়বে। তাই সেই অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ করা জরুরি।’’
পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু জানাচ্ছেন, শুধু সরকার পোষিত বা সরকার সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলেই নয়। যে-সব সরকারি স্কুলে ইংরেজি মাধ্যমে পঠনপাঠনের ব্যবস্থা হয়েছে, সেখানেও এই ধরনের শিক্ষকের প্রচণ্ড অভাব। সৌগতবাবু বলেন, ‘‘সরকারি স্কুলে ২০১৩-২০১৪ সালের পরে শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। ফলে শিক্ষকের অভাব রয়েছে। যে-সব স্কুলে ইংরেজি মাধ্যম চালু হল, সেখানে অন্যান্য স্কুল থেকে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানোর মতো শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়ে এসে কাজ চালানোর চেষ্টা করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করা দরকার।’’
আরও পড়ুন: যাদবপুরই পুরভোটের আদর্শ, মত ধনখড়ের
এক লহমায়
• রাজ্যে ইংরেজিতে পাঠ ১১৮ স্কুলে।
• কলকাতায় ২৮ স্কুলে।
• পঞ্চম থেকে দশম ১০টি স্কুলে।
• বাকি সবই প্রাক্-প্রাথমিক।
সূত্র: স্কুলশিক্ষা দফতর
সম্প্রতি যাদবপুর বিদ্যাপীঠে পঞ্চম শ্রেণি থেকে ইরেজিতেও পঠনপাঠনের ব্যবস্থা চালু হয়েছে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বাংলা মাধ্যমে ইংরেজি বিভাগ খোলা খুবই সময়োপযোগী পদক্ষেপ। কিন্তু প্রতিটি বিষয় ইংরেজিতে পড়ানোর মতো শিক্ষক চাই।’’ হিন্দু স্কুলের প্রধান শিক্ষক শুভ্রজিৎ দত্ত বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলে প্রাথমিক বিভাগে ইংরেজি মাধ্যম চালু হয়েছে। সেখানে খুবই সাড়া মিলেছে। ভর্তিও হয়েছে প্রচুর পড়ুয়া। পরিকাঠামোর আরও কিছুটা উন্নতি হলে ইংরেজি মাধ্যমে ভর্তি হওয়ার উৎসাহ আরও বাড়বে।’’