কখনও ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা, কখনও লালুপ্রসাদ-চিদম্বরমের ঠিকানায় তল্লাশি। এ বার কি ঘায়েল হতে চলেছে তৃণমূলও? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে ফের ঘিরে ফেলতে আয়কর বিভাগের একটি নোটিসকে নিয়ে সেই জল্পনা তুঙ্গে। পঞ্জাব ও হরিয়ানায় বিধানসভা ভোটের সময়ে হওয়া আর্থিক লেনদেন নিয়ে প্রশ্ন তুলে তৃণমূলকে নোটিস পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের অধীনে থাকা আয়কর বিভাগ।
আয়কর বিভাগের অভিযোগ, খরচ সংক্রান্ত যে অডিট রিপোর্ট তৃণমূল নির্বাচন কমিশনকে দিয়েছে, তাতে বিস্তর গরমিল রয়েছে। কেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না— তা জানতে চাওয়া হয়েছে। তৃণমূল মনে করছে, দলকে বিড়ম্বনায় ফেলতে এটি পরিকল্পিত পদক্ষেপ। সে সময়ে পঞ্জাব ও হরিয়ানায় দলের তরফে নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন কে ডি সিংহ। তৃণমূল নেতারা অভিযোগের আঙুল তুলছেন কে ডি-র দিকেই। দলের সঙ্গে যাঁর সম্পর্ক তলানিতে।
আরও পড়ুন:একশো টাকায় একটি বেজি, দিচ্ছেন ত্রাতা
সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে বৈঠকের পরে সিবিআই হানার বিরুদ্ধে সরব হন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘দিনভর যা চলছে, তার ঘোর নিন্দা করছি। কখনও অখিলেশ, লালুজি, চিদম্বরম, কখনও আমি, কখনও বা কেজরীবালকে নিশানা করা হচ্ছে। ভয় দেখানো হচ্ছে।’’ বিষয়টি নিয়ে সনিয়া-রাহুলের সঙ্গে আলোচনা করে মোদী-বিরোধী মঞ্চ তৈরির কাজও শুরু করে দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘যাঁদেরই পছন্দ নয়, তাঁদের জেলে ভরে দেওয়া, সিবিআই লেলিয়ে দেওয়া, জঙ্গি তকমা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। ’’
তৃণমূলকে আয়কর নোটিস নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করেছে বিজেপি। মমতা অবশ্য সহকর্মীদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, শাসক দলের মনোভাব দেখে ভয় না পেতে। তাঁর মতে, সাংগঠনিক ভাবে বিষয়টির মোকাবিলা করতে হবে। মমতার বক্তব্য, শাসক দল চাইছে বিরোধী শূন্য দেশ গড়তে। ফলে বিরোধীদের একজোট হয়ে মোকাবিলা করতে হবে।