Anup majhi

লালার বালি কারবারে ‘বিএম’ কে

সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে নদীবক্ষে লিজের এলাকার বাইরে থেকে বালি তোলা এবং তা লরি করে পাচারের টাকা কেন্দ্রীয় ভাবে সংগ্রহ করে ‘বিএম’-এর কাছে পৌঁছে যেত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:৩৩
Share:

—ফাইল চিত্র

ছিল কয়লা পাচারের খোঁজে আয়কর দফতরের তল্লাশি। কিন্তু বাস্তবে অনুপ মাজি ওরফে লালার বালির কারবার দেখে চক্ষু চড়কগাছ আয়কর কর্তাদের। কারবারের শিকড়ে পৌঁছতে ‘বিএম’ রহস্যের জট খোলার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। আয়কর দফতরের সঙ্গে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এবং সিবিআইও ‘লালার সাম্রাজ্য’ নিয়ে তৎপর হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সূত্রের খবর, কয়লার পাশাপাশি বালির কারবারেও একচেটিয়া আধিপত্য তৈরি হয়েছিল লালার। গন্ধেশ্বরী, দামোদর, কংসাবতী, সুবর্ণরেখা, অজয়, ময়ূরাক্ষী-সহ নানা নদ-নদীর বালি ঘাট থেকে বালি তুলে লরি পৌঁছত কলকাতা-সহ রাজ্য বা রাজ্যের বাইরে বিভিন্ন স্থানে। একটি ১০ চাকার লরিতে যেখানে ১৬ টন বালি আসার কথা, সেখানে লালার প্যাড থাকলে ৪০ থেকে ৫০ টন পর্যন্ত বালি নিয়ে আসা যেত। সেই ওভারলোডিংয়ের জন্যই লরি মালিকদের মাসিক ৭০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে প্যাড কিনতে হত। বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার সমস্ত বালির লরির নিয়ন্ত্রণ এ ভাবেই লালার হাতে চলে গিয়েছিল। আয়কর কর্তাদের দাবি, লালার প্যাড থাকলেই বেআইনি বালি ভর্তি লরি অনায়াসে পার হত, কোনও পুলিশি তল্লাশির মুখে পড়ত না।

আয়কর কর্তারা জানাচ্ছেন, সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে নদীবক্ষে লিজের এলাকার বাইরে থেকে বালি তোলা এবং তা লরি করে পাচারের টাকা কেন্দ্রীয় ভাবে সংগ্রহ করে ‘বিএম’-এর কাছে পৌঁছে যেত। সেখান থেকে আবার জেলাভিত্তিক ভাগবাঁটোয়ারা হত। কর্তারা জেনেছেন, আগে বালির কারবার জেলাভিত্তিক ছিল। ফলে এক-এক জেলায় বালির কারবারের আলাদা আলাদা সর্দার ছিলেন। বেআইনি বালির কাঁচা টাকাও স্থানীয় স্তরেই ঘোরাফেরা করত। সম্পদ কলকাতামুখী ছিল না। কিন্তু ‘বিএম’ বালির কারবারে উৎসাহ নেওয়ার পরই পাঁচ-ছ’টি জেলার বালির নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীভূত হয়। কেন্দ্রীভূত হয় ‘সম্পদ’ সংগ্রহও। সেই কারণেই আয়কর, ইডি এবং সিবিআইয়ের চোখ এখন ‘বিএম’ রহস্য উন্মোচনে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন