পৌঁছয়নি নম্বর, তবু বেরিয়ে গেল ফল!

ফল প্রকাশের আগে কয়েকটি বিষয়ের কিছু পরীক্ষার্থীর নম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে না-পৌঁছনোয় শিক্ষা মহল হতবাক। প্রশ্ন উঠছে, সংশ্লিষ্ট পরীক্ষকদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে কি?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:০৮
Share:

উত্তরপত্র যাচাইয়ের পারিশ্রমিক কম বলে এক শ্রেণির শিক্ষক-শিক্ষকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। খাতা দেখতে অনীহা দেখান অনেকেই। তাতে সামগ্রিক ভাবেই ফল ঘোষণা বিলম্বিত হয়। কিন্তু এ বার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফল প্রকাশের আগের দিনেও কিছু পরীক্ষক খাতা দেখে নম্বর জমা দিতে পারেননি। তাই আনুষ্ঠানিক ভাবে ফল ঘোষণার পরেও দেখা গেল, বেশ কিছু পরীক্ষার্থীর ফল অসম্পূর্ণ রয়েছে।

Advertisement

শুক্রবার বিএ, বিএসসি পার্ট টু অনার্স ও মেজর পরীক্ষার ফল বেরিয়েছে। দুপুরে ফল ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু দেখা যায়, রাশিবিজ্ঞান ও পুষ্টিবিজ্ঞানের কিছু পরীক্ষার্থীর সব পত্রের নম্বর সাইটে দেওয়া হয়নি। উৎকণ্ঠিত পরীক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের খবর, রাশিবিজ্ঞানে যাঁদের ফল দেওয়া যায়নি, তাঁরা আশুতোষ কলেজের পড়ুয়া। এ দিন ওই কলেজের পক্ষ থেকেও এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করা হয়।

এমনটা হল কেন?

Advertisement

সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) স্বাগত সেন জানান, ঠিক সময়ে ওই সব বিষয়ের নম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌঁছয়নি। তাই ওয়েবসাইটে দেওয়া যায়নি। শুক্রবার সেগুলো এসে পৌঁছেছে। শনিবারেই সেই সব নম্বর ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেওয়া হবে। রাতের দিকে সহ-উপাচার্যই জানান, রাশিবিজ্ঞান এবং পুষ্টিবিজ্ঞানের পরীক্ষার্থীদের নম্বর ওয়েবসাইটে আপলোড করে দেওয়া হয়েছে।

ফল প্রকাশের আগে কয়েকটি বিষয়ের কিছু পরীক্ষার্থীর নম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে না-পৌঁছনোয় শিক্ষা মহল হতবাক। প্রশ্ন উঠছে, সংশ্লিষ্ট পরীক্ষকদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে কি?

সহ-উপাচার্য বলেন, ‘‘প্রধান পরীক্ষকের কাছ থেকে এ দিনই ওই সব নম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছে। এ ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা আলোচনাসাপেক্ষ। কার কোন জায়গায় খামতি ছিল, খতিয়ে দেখতে হবে।’’ শিক্ষাজগতের একাংশের বক্তব্য, কেন ফল প্রকাশে দেরি হয়, কেনই বা খাতা দেখতে অনীহা, উত্তরপত্র যাচাইয়ের পারিশ্রমিক বাড়ানোর দাবি কতটা যুক্তিযুক্ত— দীর্ঘদিন ধরেই তো এ-সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে! নিট ফল কী? সমস্যার সুরাহা যে বিশেষ হয়নি, এ বার ফল নিয়ে এই জটিলতাই তার প্রমাণ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এই বিষয়ে বিশেষ উচ্চবাচ্য করা হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, শুধু ঠিক সময়ে নম্বর আসেনি বলেই যে কিছু ফল অসম্পূর্ণ আছে, তা নয়। প্রযুক্তিগত ত্রুটিতেও ৭৯ জন পরীক্ষার্থীর ফল অসম্পূর্ণ রয়েছে। তাঁদের ফলও দ্রুত সম্পূর্ণ করে ওয়েবসাইটে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সহ-উপাচার্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন