sikkim

উত্তর সিকিমে ‘বেলি ব্রিজ’ বানাচ্ছে সেনা

মঙ্গন থেকে টুং হয়ে চুংথাংয়ে মূল রাস্তা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামতের চেষ্টা করছে বর্ডার রোডস অর্গানাইজ়েশন। টুংয়ে নতুন সেতু হচ্ছে। তবে তা হতে সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:০১
Share:

তিস্তায় সেই সেতু। —নিজস্ব চিত্র।

সিকিমের দক্ষিণ লোনাক হ্রদে জলস্ফীতি এবং হড়পা বানের বিপর্যয়ের পর বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে উত্তর সিকিম, বিশেষ করে চুংথাং এলাকা। সেখানকার সঙ্গে যোগাযোগ স্বাভাবিক করতে তাই তিস্তায় ‘বেলি ব্রিজ’ তৈরি হল। সেনাবাহিনী, বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন (বিআরও) এবং সিকিম প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এই কাজ হচ্ছে। স্থানীয়রাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ১৫০ ফুট লম্বা এই সেতুটির কাজ রবিবার সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে পাশেই আর একটি সেতু করতে হবে। তারও কাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়।

Advertisement

সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন এই সেতু হয়ে বিকল্প পথে মঙ্গন থেকে সাংকলঙ্গ, থেং হয়ে চুংথাং যাতায়াত করা যাবে। তবে মঙ্গন থেকে টুং হয়ে চুংথাংয়ে মূল রাস্তা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামতের চেষ্টা করছে বর্ডার রোডস অর্গানাইজ়েশন। টুংয়ে নতুন সেতু হচ্ছে। তবে তা হতে সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে।

সেনাবাহিনীর ত্রিশক্তি কোরের মুখপাত্র অঞ্জনকুমার বসুমাতারি বলেন, ‘‘বিপর্যয়ের পর ৪ অক্টোবর থেকে উত্তর সিকিমের সঙ্গে স্বাভাবিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পর্যটক ও স্থানীয় দুর্গতদের উদ্ধার করতে, ত্রাণ পৌঁছতে চুংথাং এবং সাংকলঙ্গের মাঝে হেঁটে যাতায়াত করার জন্য বাঁশের সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। তার থেকে ২০০ মিটার উপরে নতুন সেতু পথে বিকল্প রাস্তায় দ্রুত স্বাভাবিক যোগাযোগ শুরু করা যাবে।’’

Advertisement

সূত্রের খবর, বিকল্প পথে যাতায়াতের জন্য মঙ্গন-সাংকলঙ্গের মাঝে দুটো সেতু তৈরি করতে হবে। কেন না ওই অংশে তিস্তা চওড়া হয়ে ৬০০ ফুট হয়েছে। মাঝে একটি দ্বীপের মতো অংশ তৈরি হয়ে নদী দু’ভাগে ভাগ হয়েছে। তাই ওই দুই অংশে দুটো সেতু প্রয়োজন। তারই একটির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে আর একটি ২৭ অক্টোবরের মধ্যে হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
বিপর্যয়ের পর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে উত্তর সিকিমে লাচুং, লাচেন, চুংথামে আটকে থাকা পর্যটক, স্থানীয় বাসিন্দা, শ্রমিকদের হেলিকপ্টারে উদ্ধার করতে হয় বায়ুসেনাকে। কাজেই যোগাযোগ স্বাভাবিক না হলে সেখানকার জীবনযাত্রা ছন্দে ফিরতে সময় লাগবে। তাই দ্রুত সেতুর কাজ শেষ হওয়ার আশায় তাকিয়ে সকলে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন