পাঁচ বছরের কাজ, বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন জেলা সভাধিপতিরা। আজ উত্তর দিনাজপুরের কবিতা বর্মণ।
Kabita Burman

‘পানীয় জল দুয়ারে পৌঁছতে এখনও কাজ বাকি’

২০১৮ সালে যাঁর ঘর ছিল না, ২০২৩ সালে তাঁর ঘর হতে পারে। ফলে, সমীক্ষায় অনেকের নাম বাদ গিয়েছে। আবার কেন্দ্র অনেক যোগ্যের নাম বাদ দিয়েছে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২৩ ০৭:৫০
Share:

উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের তৃণমূলের সভাধিপতি কবিতা বর্মণ। নিজস্ব চিত্র

প্রশ্ন: রাজ্য জুড়ে নিয়োগ-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পঞ্চায়েত ভোটে তা নিয়ে জেলায় কতটা অস্বস্তির মুখে দল?

Advertisement

উত্তর: কে দোষী আর কে নির্দোষ, তা আদালতে প্রমাণ হবে। কিন্তু এজেন্সি কাকে গ্রেফতার করবে, তা বিজেপির নেতারা আগেই বলে দিচ্ছেন। আদালতের উপরে আমাদের আস্থা রয়েছে। সাধারণ মানুষ সবটাই বুঝেছেন। তাই কোনও অস্বস্তি নেই।

প্রশ্ন: অভিযোগ উঠেছে, জেলায় অনেক গরিব মানুষই আবাস যোজনা প্রকল্পে ঘর পাননি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কী ভাবে এই অভিযোগ সামাল দেবেন?

Advertisement

উত্তর: ২০১৮ সালে যাঁর ঘর ছিল না, ২০২৩ সালে তাঁর ঘর হতে পারে। ফলে, সমীক্ষায় অনেকের নাম বাদ গিয়েছে। আবার কেন্দ্র অনেক যোগ্যের নাম বাদ দিয়েছে। তা ছাড়া, কেন্দ্র তো এখনও ঘর তৈরির জন্য টাকা বরাদ্দ করেনি।

প্রশ্ন: সরকারি প্রকল্প থেকে নির্মাণ কাজের বরাত, বহু ক্ষেত্রেই শাসকদলের লোকজনের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

উত্তর: গত পাঁচ বছরে জেলা পরিষদের কেউ, কোনও বেআইনি কাজ করেননি বা কাটমানি নেননি। বিরোধীরা মিথ্যা অভিযোগ তুলতেই পারেন।

প্রশ্ন: জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এখনও বাড়ি-বাড়ি পানীয় জল পৌঁছয়নি।

উত্তর: জেলার অধিকাংশ এলাকায় গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে। বহু গ্রাম পঞ্চায়েতে বাড়ি-বাড়ি পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। তবে এখনও অনেক কাজ বাকি।

প্রশ্ন: বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা প্রকল্পের সুবিধা না পাওয়ার অভিযোগে ইতিমধ্যেই ‘দিদির দূত’-দের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে।

উত্তর: সাধারণ মানুষ তাঁদের দাবি, অভাব ও অভিযোগ জানাচ্ছেন। এটাই স্বাভাবিক। এখানে বিক্ষোভের কিছু নেই।

প্রশ্ন: একশো দিনের প্রকল্প নিয়েও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কী ভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দেবেন?

উত্তর: দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছেন। একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলা প্রধান আদালতে আত্মসমর্পণও করেছেন। কয়েক দিন আগে, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল জেলায় এসে একশো দিনের কাজের প্রশংসা করেছে। তবে গত এক বছর কেন্দ্র একশো দিনের প্রকল্পে টাকা বরাদ্দ না করায়, জেলার জব-কার্ডধারীদের ওই প্রকল্পে কাজ দেওয়া যায়নি।

প্রশ্ন: অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বেহাল। কী বলবেন?

উত্তর: ‘পথশ্রী’ প্রকল্পে উত্তর দিনাজপুর জেলার জন্য প্রায় একশো কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। গত পাঁচ বছরেও জেলা জুড়ে অসংখ্য রাস্তা তৈরি ও বেহাল রাস্তা মেরামতের কাজ হয়েছে।

প্রশ্ন: জেলায় বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প সরকারি পরিষেবা নিয়ে আপনি কতটা সন্তুষ্ট?

উত্তর: অনেক কাজ হয়েছে। তবে এ-ও ঠিক যে, এখনও অনেক কাজ বাকিও রয়েছে।

সাক্ষাৎকার: গৌর আচার্য

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন