সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র শৌভিক সিংহের অপমৃত্যুর পরে ৪৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। কিন্তু তাঁর মৃত্যুরহস্যের কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। তদন্তকারীরা মনে করছেন, বেকবাগানে কলেজের সাততলা হস্টেলের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে ওই ছাত্র আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু মেধাবী ছাত্র শৌভিক কেন আত্মহত্যা করবেন, তার সন্তোষজনক জবাব মিলছে না। মৃত্যুর কারণ নিয়ে রবিবার পর্যন্ত পুলিশ তাই তিমিরেই।
পুলিশ ওই ছাত্রের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। তা থেকে কিছু সূত্র মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে। পুলিশ জেনেছে, শুক্রবার রাতে রহস্যজনক মৃত্যুর কিছু আগে শৌভিক তাঁর প্রি-পেড মোবাইলে টাকা ভরেছিলেন। সেই জন্য দুই সহপাঠীকে নিয়ে হস্টেলের বাইরেও যান তিনি। বিহারের পটনার বাসিন্দা শৌভিক আত্মহত্যা করবেন বলে ঠিক করে থাকলে তার কিছু আগে মোবাইলে টাকা ভরবেন কেন, এই প্রশ্নটাও ধন্দে রেখেছে পুলিশকে।
তদন্তকারীরা মনে করছেন মোবাইল ফোন ছাড়াও শৌভিকের ওই দুই সহপাঠী এ ক্ষেত্রে কিছুটা আলোকপাত করতে পারেন। পুলিশ জেনেছে, শুক্রবার রাত সওয়া ৯টা নাগাদ হস্টেলের ছাদ থেকে নীচে পড়ার কিছু আগে শৌভিক ছিলেন ওই দু’জনের সঙ্গেই। তিন জন ছাদে গিয়েছিলেন একসঙ্গে। কিন্তু ফোন আসায় সঙ্গী দুই সহপাঠী ছাদ থেকে নেমে যান বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। তার পরেই অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটে। পুলিশের বক্তব্য, ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যুর আগে শেষ বার শৌভিকের কথা হয়েছিল ওই দু’জনের সঙ্গেই। ছাদে শৌভিকের আচরণে তাঁরা অস্বাভাবিক কিছু দেখেছিলেন কি না, সেটাও তাঁদের কাছে জানতে চাইবে পুলিশ। জানতে চাওয়া হবে শৌভিকের আরও কয়েক জন সহপাঠীর বক্তব্যও।