প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেওয়া, ধর্ষণ করানো ও প্রাণে মারার হুমকির অভিযোগ তুলেছিলেন সেই স্কুলেরই শিক্ষিকারা। এই নিয়ে তদন্ত করে দশ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে স্কুল পরিদর্শককে নির্দেশ দিয়েছিল স্কুল শিক্ষা দফতর। কিন্তু তার পরে এক মাস পেরিয়ে গেলেও তদন্ত শেষ করে উঠতে পারেননি স্কুল পরিদর্শক। তাঁর রিপোর্ট না পেয়ে হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে সরকারও। ফলে প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষা-প্রশাসনের সদিচ্ছা নিয়ে। অভিযোগ যাঁর বিরুদ্ধে, তিনি উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদের পূর্ব খেজুরবেড়িয়া এম সি ইনস্টিটিউশন–এর প্রধান শিক্ষক সমরেশচন্দ্র মণ্ডল। ওই স্কুলেরই শিক্ষিকাদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক নানা ভাবে তাঁদের কুপ্রস্তাব দিচ্ছেন। ধর্ষণ করিয়ে দেওয়া এমনকী প্রাণে মারার হুমকিও দিয়েছেন। একাধিক বার হাসনাবাদ থানায় অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
শিক্ষিকারা জানান, গত ফেব্রুয়ারিতে স্কুল শিক্ষা দফতর এবং মার্চে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা। তার পরেই কিছুটা তৎপরতা শুরু হয়েছিল। স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, গত এপ্রিলে জেলা স্কুল পরিদর্শককে (মাধ্যমিক) অভিযোগ খতিয়ে দেখে দশ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল। দু’দফায় তাঁর কাছে নির্দেশ যায়। কিন্তু তার পরেও রিপোর্ট জমা পড়েনি।
এ নিয়ে পরিদর্শক কোনও জবাব দেননি। তবে তাঁর অফিসের এক কর্তা শনিবার বলেন, ‘‘ তদন্ত শুরু হয়েছে। ঠিক সময়েই রিপোর্ট পাঠানো হবে।’’ আর শিক্ষা দফতরের এক অফিসার জানিয়েছেন, পরিদর্শকের কাছে ফের চিঠি পাঠানো হবে। অভিযোগ সম্পর্কে সমরেশবাবুর বক্তব্য, ‘‘ওই শিক্ষিকারা স্কুলের কোনও নিয়ম-শৃঙ্খলা মানেন না। এই নিয়ে রুখে দাঁড়ানোয় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে।’’ প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, তিনি তাঁর বক্তব্য স্কুলশিক্ষা দফতরকে জানিয়েছেন।