বাংলা অনার্সের চতুর্থ পত্রের পরীক্ষায় তৃতীয় পত্রের প্রশ্ন কী ভাবে মিশে গিয়েছিল, তার তদন্ত মঙ্গলবারেও শেষ করা যায়নি। তাই তদন্তের রিপোর্ট পেশও পিছিয়ে গিয়েছে।
আজ, বুধবার ওই প্রশ্নপত্র-বিভ্রাটের তদন্ত রিপোর্ট পেশ করার কথা। কিন্তু নথির অভাবে তদন্ত শেষ করা যাচ্ছে না বলে তদন্তকারী দলের এক সদস্য মঙ্গলবার জানান। তাঁর বক্তব্য, বাংলা অনার্সের প্রশ্ন-বিভ্রাটে অন্তর্ঘাত প্রায় নিশ্চিত। এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাপাখানা পরিদর্শনে যান তাঁরা। ওই সদস্যের অভিযোগ, সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সমস্ত নথি ইতিমধ্যেই নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান (পাশ)-এর প্রশ্নপত্রে বিভ্রাটের তদন্ত রিপোর্ট অবশ্য এ দিনই উপাচার্যের কাছে জমা পড়েছে। তাতে বাঘা যতীন সম্মিলনী কলেজের অধ্যক্ষ শান্তিরঞ্জন পালচৌধুরী এবং পরীক্ষায় দায়িত্বে থাকা তিন সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
৮ জুন ওই কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাশ পরীক্ষার প্রথমার্ধে দ্বিতীয়ার্ধের প্রশ্নপত্র মিশে যায়। কিছু পরীক্ষার্থী প্রথমার্ধের এবং অনেকে দ্বিতীয়ার্ধের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেন। তার পরেই দ্বিতীয়ার্ধের পরীক্ষা বাতিল করা হয়। কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত এ দিন বলেন, ‘‘তিন সদস্যের কমিটি ওই চার জনকেই শো-কজ করেছে। সাত দিনের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে।’’