ফের জেল হেফাজতে মির্জা

গত ২৬ সেপ্টেম্বর সিবিআইয়ের হাতে নারদ কাণ্ডে গ্রেফতার হন মির্জা। প্রথম চার দিন তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে সিবিআই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:১৯
Share:

বিশেষ সিবিআই আদালত থেকে বেরোচ্ছেন এসএমএইচ মির্জা। মঙ্গলবার। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক

নারদ কাণ্ডে অভিযুক্ত আইপিএস অফিসার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জাকে আরও ১৫ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিলেন বিচারক। নারদে ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল বর্ধমানের তৎকালীন পুলিশ সুপার মির্জাকে। আপাতত তিনি সাসপেন্ড। তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অনুমতি চেয়েছে সিবিআই।

Advertisement

গত ২৬ সেপ্টেম্বর সিবিআইয়ের হাতে নারদ কাণ্ডে গ্রেফতার হন মির্জা। প্রথম চার দিন তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে সিবিআই। ২৯ সেপ্টেম্বর তাঁকে নিয়ে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। মির্জা দাবি করেন, তিনি মুকুলকে টাকা দিয়েছেন। মুকুল সেই দাবি অস্বীকার করেন।

৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির করলে বিচারক তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠান। ১৫ দিন জেল হেফাজতে থাকার পরে মঙ্গলবার তাঁকে ব্যাঙ্কশালে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হাজির করানো হয়। মির্জার আইনজীবীরা জানান, তিনি সিবিআইয়ের তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করেছেন। মামলায় যাবতীয় সাক্ষ্যপ্রমাণ সিবিআইয়ের জিম্মায়। সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাটের প্রশ্নই ওঠে না। যে কোনও শর্তে তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। সেই আবেদন খারিজ করে তাঁকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ফের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক অনুপম মুখোপাধ্যায়।

Advertisement

সিবিআইয়ের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করে জানান, প্রভাবশালী এই আইপিএস অফিসার উচ্চপদে থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে জামিন দিলে তিনি সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। এমনকি সাক্ষ্যপ্রমাণও লোপাট করতে পারেন। বিচারকও জানান, তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে অভিযুক্ত মির্জাকে জামিন দেওয়া উচিত হবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন