সিবিআই দফতরে ইকবাল আহমেদ ও তাঁর মেয়ে। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী।
কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র ইকবাল আহমেদকে নারদ মামলায় সাত ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ সিবিআই সদর দফতর নিজাম প্যালেসে পৌঁছন ইকবাল। কথা বলে বেরনোর পরে এ দিন তিনি কোনও মন্তব্য করেননি।
সিবিআইয়ের দাবি, ছদ্মবেশী ম্যাথু স্যামুয়েলকে নেতা-মন্ত্রীদের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন ইকবালই। সিবিআই সূত্রের দাবি, ওই নেতাদের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য ম্যাথুর কাছ থেকে তিনি কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন ইকবাল। সিবিআইয়ের বক্তব্য, নারদ স্টিং অপারেশন থেকে এক বড় ঘুষ-চক্রের হদিস মিলেছে।
কী রকম? সিবিআই সূত্রের দাবি, ম্যাথুকে যদি শুধু নির্বাচনী তহবিলেই টাকা দিতে বলা হতো, তা হলে তাঁকে শুধু নির্বাচনী প্রার্থীদের কাছেই নিয়ে যাওয়া হতো। কিন্তু নারদ ফুটেজ অনুযায়ী ম্যাথুকে লোকসভা ভোটের প্রার্থী ছাড়াও অন্য নেতা-মন্ত্রীদের কাছেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁরা নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে টাকা নেন বলে অভিযোগ।
সিবিআই সূত্রে খবর, নারদের অসম্পাদিত ফুটেজ এ দিন ইকবালকে দেখিয়ে নানা চরিত্র শনাক্ত করানো হয়। ওই নেতা-মন্ত্রীরা ঘুষ নেন কি না, জিজ্ঞাসা করা হয়। গোয়েন্দাদের কথায়, ম্যাথুর বয়ান অনুয়ায়ী, কিছু নেতা-মন্ত্রীর ক্ষেত্রে আইফোনের সুইচ অফ হয়ে গিয়েছিল। ফুটেজ পাওয়া যায়নি। কিন্তু তাঁরাও টাকা দিয়েছেন। তখনও ইকবাল ম্যাথুর সঙ্গেই ছিলেন বলে দাবি। তা নিয়েও ইকবালকে জিজ্ঞাসা করা হয়।