দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িগুলি। ছবি: দীপঙ্কর দে।
কী করে দুর্ঘটনায় পড়ল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়? তদন্তে নেমেছেন সিআইডি গোয়েন্দারা। সঙ্গে থাকছে এসটিএফ-ও। নবান্ন থেকে বেলভিউতে অভিষেককে দেখতে রওনা হওয়ার আগে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী জানান, অভিষেকের গাড়ির আগে যে পাইলট ভ্যান ছিল তার চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে তদন্তের পরই সত্যিটা জানা যাবে। সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রিয় ভাইপোর দুর্ঘটনার খবর শুনে স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বিগ্ন ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এর মধ্যেও টেলিফোনে আশ্বস্ত করেন অভিষেকের মা-কে। নবান্ন থেকে বেরনোর পথে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সিটি স্ক্যান করা হচ্ছে বলে শুনেছি। শুনলাম মুখে বেশ আঘাত লেগেছে। মনে হয় সেলাই হবে। হাড়ও ভেঙেছে বোধ হয়।”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বারবার সরকার নিরাপদে গাড়ি চালানোর উপর জোর দিচ্ছে। ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। যদিও তাঁর মতে, “দুর্ঘটনার নামে অনেক সময় অন্য রকম ঘটনাও ঘটে। আমি পুলিশকে বলি সব সময় সে সব দিক খতিয়ে দেখে নিতে। পুলিশকে বলেছি, কোথাও সন্দেহ হলে অ্যাটেম্পট টু মার্ডার কেস দিতে।”
অভিষেকের গাড়ি দুর্ঘটনার পিছনেও কি কোনও ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনা দেখছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত না করে এ সব বলা সম্ভব নয়। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, অভিষেকের পাইলট কারের চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন শুনেই মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকর্তাকে নির্দেশ দেন, ওঁকে কেউ কিছু খাইয়ে দিয়েছিল কি না তা ভাল করে খতিয়ে দেখতে।
আরও পড়ুন: গাড়ি উল্টে গুরুতর জখম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অবস্থা এখন স্থিতিশীল