জমায়েত: স্কুলমাঠে বৈঠক। দাড়িভিটে। নিজস্ব চিত্র
দাড়িভিট স্কুল খুলতে তাঁরা মত দেবেন কি না, তা নিয়ে আজ, বুধবার সিদ্ধান্ত জানাবেন নিহতদের পরিবারের লোকেরা। ওই দিন নিহতদের স্মরণে মোমবাতি মিছিলের পরে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা তাঁদের।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মণের পরিবারের ডাকা স্থানীয় স্তরের একটি বৈঠকেই এই বিষয়টি উঠে আসে। এই ঘটনায় অবশ্য ক্ষুব্ধ ইসলামপুরের বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসন এতটাই গুটিয়ে গিয়েছে যে এই নিয়ে তারা কোনও উচ্চবাচ্যই করছে না!
দুই নিহতের পরিবারের ডাকে মঙ্গলবার বিকেলে স্কুল মাঠেই আলোচনায় বসেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা জানান, বুধবার সন্ধ্যায় দাড়িভিটে একটি মোমবাতি মিছিল করা হবে। শ্মশানের কাছে দলেঞ্চা নদীর ধারে যেখানে নিহতদের কবর দেওয়া হয়েছে, সেখানে মানববন্ধন করা হবে। সেখানেই জানানো হবে, স্কুল খোলা নিয়ে নিহতের পরিবারের লোকজন কী সিদ্ধান্ত নিলেন।
আরও পড়ুন: টেস্টেই ডাহা ফেল, শব্দদানব দাপাল রাজ্যু জুড়ে, আজ ফাইনালে কী হবে?
যদিও নিহতের পরিবারের লোকেদের দাবি, তাঁরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব এলাকাবাসীর উপরেই ছেড়েছেন। নিহত রাজেশ সরকারের বাবা নীলকমলবাবু বলেন, ‘‘আমরা আজকে কিছু বলছি না। তবে সমস্ত কিছুই গ্রামবাসীর উপরে ছেড়েছি।’’
গত ২০ সেপ্টেম্বর দাড়িভিট স্কুলে দুই শিক্ষকের নিয়োগ নিয়ে গোলমাল হয়। তাতে গুলিতে মৃত্যু হয় স্থানীয় দুই যুবকের। তার পর থেকে স্কুল বন্ধ। রাজেশ ও তাপসের পরিবারের লোকজন একাধিকবার দাবি করেছেন, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ না দিলে স্কুল খুলতে দেবেন না তাঁরা। এ দিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষার সময়ও এগিয়ে আসছে। ফলে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অভিভাবকেরা উদ্বিগ্ন। যে বিজেপি প্রথমে স্কুল খোলার বিরোধিতা করছিল, তারাও সুর নরম করেছে।
কিন্তু ইসলামপুর মহকুমার অনেকেই স্কুল খোলা নিয়ে প্রশাসনের অবস্থানে ক্ষুব্ধ। তাঁদের প্রশ্ন, প্রশাসন কেন দায়িত্ব নিয়ে স্কুল খোলার ব্যবস্থা করছে না? তা হলে কি তাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই? ইসলামপুরের বিধায়ক কানাইয়ালাল আগরওয়াল এর জবাবে বলেন, ‘‘দাড়িভিটে দুই যুবক মারা গিয়েছেন। খুবই দুঃখজনক ঘটনা। তাই আলোচনার মাধ্যমে স্কুল খোলার পথ খোঁজা হচ্ছে। এখানে প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের প্রশ্ন আসছে কী ভাবে?’’