আধার কার্ড ৩১ অগস্ট থেকে আবশ্যিক করার ঘোষণা হয়ে রয়েছে। অথচ রাজ্যে দু’কোটির বেশি মানুষ এখনও এই কার্ড পাননি। বহু এলাকায় ব্যাঙ্কের শাখাও নেই যে মানুষ তার মাধ্যমে সরকারি সুবিধার নগদ হস্তান্তরের সুবিধা নেবেন। এই অবস্থায় আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করার সময়সীমা বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করবেন তৃণমূলের সাংসদরা। তৃণমূলের দাবি, রাজ্যের অন্তত ৯৫ শতাংশ মানুষ আধার কার্ড না পাওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা ও ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে তা বাধ্যতামূলক করা যাবে না।
উপযুক্ত পরিস্থিতি গড়ে তোলার আগেই আধারকে আবশ্যিক করার এই চেষ্টার বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরেই সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার ফের সরব হন তিনি। দলের সাংসদদের নির্দেশ দেন, তাঁরা যেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে এ ব্যাপারে রাজ্যের সমস্যার কথা জানান। সেই মোতাবেক দলের সাংসদদের তরফে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে বার্তা পাঠিয়ে সাক্ষাতের সময় চেয়েছেন লোকসভায় তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের ৯.৬ কোটি মানুষের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭.৫৪ কোটি মানুষ আধার কার্ড পেয়েছেন। দু’কোটির বেশি মানুষ কার্ড পাননি। তাঁদের বেশির ভাগই গরিব ও সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের মানুষ। ছাত্র বৃত্তি বা সরকারি প্রকল্পের আওতায় ভাতা পাওয়ার জন্য ৩১ অগস্ট থেকে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করা হলে অনেকেই বঞ্চিত হবেন।’’
সুদীপবাবু জানান, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আধার আবশ্যিক করার সময়সীমা পিছনোর দাবি জানাবেন তাঁরা। কারণ, তৃণমূল নেত্রীর মতে, যত ক্ষণ না রাজ্যের ৯৫ শতাংশ মানুষ আধার কার্ড পাচ্ছেন এবং সে ব্যাপারে তাঁদের সচেতন করে তোলা সম্ভব হচ্ছে, তত ক্ষণ তা বাধ্যতামূলক করা যাবে না। তা ছাড়া, ব্যবহারিক দিক থেকেও এ ক্ষেত্রে প্রচুর অসুবিধা রয়েছে। যেমন রাজ্যের ৮০০ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ব্যাঙ্কের কোনও শাখা নেই। এলাকায় ব্যাঙ্কই যদি না থাকে, তা হলে আধারের মাধ্যমে সরাসরি সুবিধা হস্তান্তরের সুবিধা মানুষ নেবেন কী ভাবে?’’