মুখ খুলুন আমার হয়ে, ডাক ধনখড়ের

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে ঢুকতে বাধা পেলেও সেই বিতর্ক ছাড়তে নারাজ রাজ্যপাল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:৪৪
Share:

রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।—ছবি পিটিআই।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও কর্মচারীদের একাংশের বিরুদ্ধে কার্যত গণপ্রতিবাদের ডাক দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।

Advertisement

বৃহস্পতিবার টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘হাতেগোনা কয়েকজন যখন গোটা ব্যবস্থার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তখন সংখ্যাগরিষ্ঠের নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তা গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের জন্য খারাপ।’ এই ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ’ অংশকে তিনি প্রতিবাদে সরব হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে ঢুকতে বাধা পেলেও সেই বিতর্ক ছাড়তে নারাজ রাজ্যপাল। শুধু তাই নয়, ঘটনার তিন দিনের মাথায় তিনি যে টুইট করেছেন, তাতে স্পষ্ট আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রী ও কর্মচারীদের বক্তব্যকে তিনি অন্যায্যই মনে করছেন। শুধু তাই নয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা পাওয়ার জন্য এদিনও প্রশাসনিক নিস্পৃহতাকে দায়ী করেছেন তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: কর্নাটকের নিহতদের পাশে মমতা

রাজ্যপালের এই টুইটের কড়া জবাব দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যবাসীর উপরে হেডমাস্টারি করার আগে তাঁকে ছাত্র হতে হবে। তবে বিজেপির স্কুলে নয়, তাঁকে শিখতে হবে মানুষের স্কুলে। আসলে বাস্তবের সঙ্গে যোগাযোগ নেই বলেই তিনি এ কথা বলেছেন। থাকলে তিনি বুঝতে পারতেন সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কী বলছেন, তাঁরা কী চান।’’

এদিকে এদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের ( কলা, বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং) পক্ষ থেকে রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠিতে রাজ্যপালকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রাক্তন আচার্য’ হিসেবে উল্লেখ করে তাঁর ভূমিকার কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। একটি ‘রিপোর্ট কার্ড’ প্রকাশ করে ছাত্র সংসদের তরফে বলা হয়েছে, রাজ্যপালের সাধারণ জ্ঞান একেবারেই সন্তোষজনক নয়। যুক্তি দুর্বল, ইতিহাস জ্ঞান শূন্য। ওই চিঠিতে কেন্দ্রীমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে ঘিরে ছাত্রদের বিক্ষোভের দিন রাজ্যপাল যে ভূমিকা নিয়েছিলেন, তারও সমালোচনা করেছেন ছাত্র-প্রতিনিধিরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement