জয়া দত্ত এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
দলের ছাত্র সংগঠনের সভানেত্রীর পদ থেকে জয়া দত্তকে সরানো হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেই পরবর্তী সভাপতির নাম ঘোষণা করবে তৃণমূল। সোমবার এ কথা জানালেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ছাত্র সংগঠনের নতুন প্রধান কবে দায়িত্ব নেবেন তা নিয়ে পার্থবাবু অবশ্য এ দিন কিছু বলেননি।
নানা কলেজে ছাত্র ভর্তিতে টাকার লেনদেন নিয়ে অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে। তার পর বুধবারই জয়াকে দায়িত্ব থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূল নেত্রী। সেই সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে তিনি ১০ দিন সময়ও দেন পরবর্তী সভাপতি মনোনয়নের জন্য। কিন্তু প্রাথমিকভাবে দলের তরফে নেত্রীর এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা নিয়ে টালবাহানা চলছিল। শনিবার জয়া নিজেও দাবি করেন, দলনেত্রী তাঁকে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন। পার্থবাবু সোমবার বলেন, ‘‘দলনেত্রীর সিদ্ধান্ত, ছাত্র সংগঠনের সভাপতি পদে নতুন মুখ আনা হবে। কবে, কাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা নেত্রীর সঙ্গে কথা বলেই ঠিক হবে।’’
কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় কলেজে ভর্তি নিয়ে টাকা লেনদেনের অভিযোগ পৌঁছয় শিক্ষামন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। বারবার সতর্ক করার পরও পরিস্থিতি না বদলালে ছাত্র সংগঠনের সভানেত্রীকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মমতা। সেই সঙ্গে দলীয় নেতৃত্বের অনুমতি ছাড়াই সাংগঠনিক বৈঠকের জন্য তৃণমূল ভবন ব্যবহার করেছিলেন জয়া। তাতেও ক্ষুব্ধ হন মমতা। তার পরই দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জয়ার অপসারণের সিদ্ধান্ত জানান তিনি। কিন্তু তার পরেও বিষয়টি ঝুলে থাকায় তা নিয়ে দলের ভিতরে ও বাইরে গুঞ্জন শুরু হয়। অনেকেই মনে করেন, নেতৃত্ব বদলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করছে তৃণমূল। নেত্রীর নির্দেশ সম্পর্কে পার্থবাবু কিছু বলতে চাননি। তবে এ দিন তিনি বলেন, ‘‘নেত্রী যখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তখন তা পুনর্বিবেচনার সুযোগ নেই।’’
দলীয় সূত্রের খবর, ২১ জুলাই দলের শহিদ দিবসের কর্মসূচি নিয়ে এখন নেতারা ব্যস্ত। তবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচির আগেই এই সংগঠনের দায়িত্ব নতুন হাতে দেওয়া হবে। শুধু রাজ্য নেতৃত্বই নয়। লোকসভা ভোটের আগে এই রদবদল হবে জেলাস্তরেও। বিশেষ করে যে সব জায়গায় ছাত্র রাজনীতির জন্য নির্দিষ্ট বয়স পেরিয়ে যাওয়া নেতারা রয়েছেন, তাঁদেরও ‘অব্যহতি’ দেওয়ার কথা ভেবেছে তৃণমূল।