মমতার শর্তেই আলোচনা চান রুইয়া

এক দিকে যখন এফআইআর জারি হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে, তখন রাজ্য সরকারের সঙ্গে ‘আপস আলোচনা’য় আগ্রহী জেসপ কারখানার মালিক পবন রুইয়া। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যস্থতায় জেসপ-ডানলপ দুই কারখানার সমস্যারই স্থায়ী সমাধানের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৬ ০১:০৪
Share:

এক দিকে যখন এফআইআর জারি হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে, তখন রাজ্য সরকারের সঙ্গে ‘আপস আলোচনা’য় আগ্রহী জেসপ কারখানার মালিক পবন রুইয়া। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যস্থতায় জেসপ-ডানলপ দুই কারখানার সমস্যারই স্থায়ী সমাধানের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। বুধবার তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে রুইয়া বলেন, ‘‘মমতাদি যা বলবেন, আমরা সেই শর্ত মেনেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু করতে আগ্রহী।’’

Advertisement

বিধানসভা ভোটে জিতে মমতার দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হওয়ার পরে শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্রের সঙ্গেও দেখা করতে চেয়েছিলেন রুইয়া। তিনি জানান, ওই কারখানার চত্বরে অনেক জমি রয়েছে। রাজ্য সরকার সেই জমি নিয়ে তাদের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিক্রি করে কোনও বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজতে চাইলে তাতেও কোনও আপত্তি থাকবে না। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা হতে পারে। তবে অমিত মিত্র এখনও রুইয়ার সঙ্গে দেখা করেননি। বুধবার ফের কলকাতায় অমিতবাবুর দফতরে ফোন করেন রুইয়া। তাঁকে জানানো হয়, জিএসটি বৈঠকের জন্য অমিতবাবু এ দিন দিল্লিতে।

মমতা যে জেসপ অধিগ্রহণ চাইছেন, সেই রাজনৈতিক বার্তা নির্বাচনের আগে থেকেই বহুল প্রচারিত। বিধানসভায় ডানলপ-জেসপ অধিগ্রহণের বিল পাশ হয়েছে চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি, বিধানসভা নির্বাচনের আগেই। জেসপ ও ডানলপ, এই দুই সংস্থা মিলিয়ে প্রায় ১০০০ কর্মী রয়েছেন। রাজ্য সরকার প্রতি মাসে ৮০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা খরচ করছে কর্মীদের বেতন-খাতে। কিন্তু আইনজ্ঞেরা বলছেন, অধিগ্রহণের সিদ্ধান্তের বিজ্ঞপ্তি জারি হলেই পবন রুইয়া আদালতে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় পাশ হওয়ার পরে স্পিকার জেসপ-অধিগ্রহণের বিলটি রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। সেখান থেকে তা এসেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের কাছে। তার পরে বিলটি রাজনাথের টেবিলেই পড়ে আছে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য তা এখনও রাষ্ট্রপতি ভবনে যায়নি।

এই অবস্থায় রুইয়ার বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ খণ্ডন করতে গিয়ে সংস্থার তরফে বলা হচ্ছে— পবন রুইয়া এখন সংস্থার কোনও পদাধিকারী। তাই তাঁর বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ আনা যুক্তিহীন। রুইয়া নিজেও ফোনে বলেন, ‘‘আগুন আমরা লাগাব কেন?
ওই জমির চরিত্রগত পরিবর্তন করার ক্ষমতা তো একমাত্র আছে রাজ্য সরকারের। কাজেই ওই জমিতে কেউ চাইলেই প্রোমোটারি করতে পারবে না। আগুন তারাই লাগাবে, যাদের স্বার্থ চরিতার্থ হবে।’’ মেয়রের কাছে গিয়েও রুইয়ার সংস্থার প্রতিনিধিদল জানিয়ে এসেছে, প্রোমোটারির কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন