আড়াই মাস এগিয়ে জয়েন্ট ২ ফেব্রুয়ারি

বেশ কয়েক বছর ধরেই রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে অনেক আসন ফাঁকা পড়ে থাকছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৯ ০২:৫৩
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য বাংলার অনেক ছাত্রছাত্রীই প্রতি বছর ভিন্‌ রাজ্যে চলে যান। এই ধরনের পড়ুয়ারা যাতে পশ্চিমবঙ্গেই পড়াশোনা করতে পারেন, সেই জন্য রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা প্রায় আড়াই মাস এগিয়ে আনা হল। আগামী বছর ২ ফেব্রুয়ারি এই প্রবেশিকা পরীক্ষা হবে বলে মঙ্গলবার জানান জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা। আগে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা নেওয়া হবে ১৯ এপ্রিল।

Advertisement

বেশ কয়েক বছর ধরেই রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে অনেক আসন ফাঁকা পড়ে থাকছে। বাংলার ১১৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসন-সংখ্যা এখন ৩৩ হাজারের কিছু বেশি। এ বার কেন্দ্রীভূত, বিকেন্দ্রীভূত কাউন্সেলিংয়ের পরেও ১৫ হাজারের কিছু বেশি আসন ফাঁকা থেকে গিয়েছে। গোটা দশেক বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কিছু কিছু পড়ুয়া পেলেও বাকিদের অবস্থা খুবই করুণ।

এই পরিস্থিতিতে অগস্টে সরকারি ও বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই আলোচনায় উঠে আসে, জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল দেরিতে বেরোনোর ফলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে আগ্রহী বাংলার অনেক ছাত্রছাত্রী ভিন্‌ রাজ্যে চলে যান। উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষণার আগে জয়েন্টের ফল বেরিয়ে গেলে এবং কাউন্সেলিং হলে পড়ুয়ারা অন্য রাজ্যের কথা না-ভেবে বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হতে পারবেন। তা হলে ভিন্‌ রাজ্যে যাওয়ার প্রবণতা কমতে পারে।

Advertisement

মলয়েন্দুবাবু এ দিনই জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগিয়ে আনার সিদ্ধান্তের কথা শিক্ষামন্ত্রীকে জানান। সেখানেই তিনি সাংবাদিকদের জানান, ২ ফেব্রুয়ারি ওই প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে ফল প্রকাশ করা হবে মার্চে। তার পরেই হবে ভর্তির কাউন্সেলিং। ছাত্রছাত্রীরা যাতে বেশি সংখ্যায় রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে ভর্তি হন, সেই জন্যই এমন সিদ্ধান্ত।

শিক্ষা শিবিরের মতে, দেশ জুড়েই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার প্রবণতা কমছে। পড়ুয়া ছাত্র না-থাকায় বহু ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে এআইসিটিই। আবার কয়েকটি বিষয়ে একেবারেই পড়ুয়া পাওয়া যাচ্ছে না। তাই কলেজগুলি সেই সব বিষয়ের পঠনপাঠন বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন