জামিন পেলেই কি দিল্লি যাবেন জুহি?

এ দিন সুপ্রিম কোর্টে জুহির জামিন পাওয়া দলের পক্ষে অনেকটাই ‘স্বস্তি’র কারণ বলে দাবি বিজেপির জেলা নেতাদের।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৯ ০৪:২৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেয়েছেন জুহি চৌধুরী। সেই কাগজপত্র জলপাইগুড়িতে এসে পৌঁছতে যতটা সময় লাগবে, মুক্তি পেতে তত দিন লাগবে তাঁর। এর মধ্যে কিন্তু দিল্লি থেকে ডাক এসে গিয়েছে, দাবি করল দলেরই একটি সূত্র। সেই সূত্রের খবর, জেল থেকে ছাড়া পেয়েই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের ডাকে দিল্লি যাবেন জুহি। জলপাইগুড়ির অসম মোড়ের বাসিন্দা জুহি বর্তমানে শিলিগুড়ি জেলে বন্দি। বিজেপি সূত্রের খবর, এমনও হতে পারে শিলিগুড়ি জেল থেকে ছাড়া পেয়েই বাগডোগরা হয়ে দিল্লি চলে গেলেন জুহি। জলপাইগুড়িতে শিশু বিক্রি এবং পাচারের মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত বিজেপির প্রাক্তন যুব নেত্রী জুহি চৌধুরী বরাবরই রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তাঁর সূত্র ধরেই মামলার চার্জশিটে রূপা এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নাম রয়েছে। দলের একটি সূত্র মনে করছে, জুহির জামিনের পরে এ বার সেই অভিযোগের পাল্টা রাজনৈতিক কৌশল কী হবে, তা তৈরি করতেই দিল্লি যেতে পারেন জুহি।

Advertisement

এ দিন সুপ্রিম কোর্টে জুহির জামিন পাওয়া দলের পক্ষে অনেকটাই ‘স্বস্তি’র কারণ বলে দাবি বিজেপির জেলা নেতাদের। ২০১৭ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে জুহিকে যখন সিআইডি গ্রেফতার করে, সে সময় তিনি ছিলেন রাজ্যে বিজেপির মহিলা সংগঠনের সম্পাদক। জুহির বাবা রবীন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী তখন দলের রাজ্য কমিটির অন্যতম সম্পাদক। সিআইডি তদন্তে জানায়, মামলায় মূল অভিযুক্ত চন্দনা চক্রবর্তী জুহির মাধ্যমে দিল্লিতে প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। একে একে নাম উঠে আসে কৈলাস, রূপার মতো বিজেপি নেতানেত্রীদের। বিজেপির তরফে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের পাল্টা অভিযোগ তোলে। তবে জলপাইগুড়ির শিশু বিক্রিতে বিজেপি নেতানেত্রীদের নাম জড়িয়ে পড়ায় কিছুটা চাপে পড়ে যায় গেরুয়া শিবির।

জুহিকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তাঁর বাবাও দলের পদ থেকে অব্যাহতি নেন। বিজেপির জেলা সম্পাদক বাপি গোস্বামীর কথায়, “প্রমাণ হল, একদিন না একদিন সত্যের জয় হয়।” সোমবার জুহির বাবা রবীন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী বললেন, “এ বার পাল্টা রাজনৈতিক মোকাবিলা করব। জুহি দিল্লিতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হবে।”

Advertisement

জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি নেতাদের কথা শুনেই বোঝা গেল, ওঁরা শিশু পাচারে অভিযুক্তদের প্রকাশ্যে সমর্থন দিচ্ছেন। জামিন পাওয়া মানেই অভিযোগ থেকে ছাড়া পাওয়া নয়। শিশু পাচারে অভিযুক্তদের দেখলেই প্রতিবাদ জানানো হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন