SSC Recruitment

কোর্টের সূত্রে প্রিয়াঙ্কা চাকরির আরও কাছে

ব্যারাকপুর রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে পড়ার পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রিয়াঙ্কা এমএ করেছেন ইংরেজিতে। বিএড-ও করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৬:৫১
Share:

প্রিয়াঙ্কা সাউ।

নিছক অভিযোগ নয়। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশন নম্বর-সহ তালিকা প্রকাশ করের পরেই স্পষ্ট হয়ে যায়, তাঁর থেকে কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের নিয়োগপত্র পাওয়া এবং তাঁর চাকরি না-পাওয়ার অভিযোগ সত্য। অবশেষে আদালতের নির্দেশেই আশার আলো দেখছেন প্রিয়াঙ্কা সাউ।

Advertisement

নিজের বাড়িতে বসে প্রিয়াঙ্কা রবিবার জানান, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে ইংরেজির শিক্ষিকাপদের জন্য ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে তিনি এসএসসি-র পরীক্ষায় বসেন। ফল বেরোয় ২০১৭ সালের নভেম্বরে। তার পরে তিনি জানতে পারেন, তাঁর থেকে কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীরা পরের পর কাউন্সেলিংয়ে ডাক পাচ্ছেন এবং চাকরিও পেয়ে যাচ্ছেন।

এ-সবের মধ্যেই আদালতের নির্দেশে নম্বর-সহ তালিকা প্রকাশ করতে হয় এসএসসি-কে। আর তাতেই জলের মতো বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। দেখা যায়, সত্যিই তাঁর থেকে কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীরা চাকরি পেয়ে গিয়েছেন, কিন্তু তিনি পাননি। প্রিয়াঙ্কা জানান, তিনি পেয়েছিলেন ৬৮.৫০ নম্বর। কিন্তু তিনি কাউন্সেলিংয়ে ডাক পাননি, চাকরিও পাননি। অথচ ৬৮.৩৩ পাওয়া প্রার্থী কাউন্সেলিংয়ে ডাক পেয়েছেন, এবং পেয়ে গিয়েছেন নিয়োগপত্রও। এমন অবিচার দেখেই আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।

Advertisement

গত বৃহস্পতিবার সপ্তাহে হাই কোর্টে প্রিয়াঙ্কার মামলা তালিকাভুক্ত হয়। আর শুক্রবারেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, প্রিয়াঙ্কাকে চাকরি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করুক এসএসসি। আদালতের নির্দেশে সে-দিন বিকেলেই প্রিয়াঙ্কা এবং তাঁর আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের দফতরে হাজির হন। আগামী বুধবার এই বিষয়ে আদালতে তাদের বক্তব্য জানাতে হবে এসএসসি-কে। পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা বৃহস্পতিবার।

ব্যারাকপুর রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে পড়ার পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রিয়াঙ্কা এমএ করেছেন ইংরেজিতে। বিএড-ও করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েই। প্রিয়াঙ্কা বলেন, “২০১৬ সালে যখন পরীক্ষা দিই, তখন মেয়ে মাত্র এক বছরের। সেই পরিস্থিতিতেই পরীক্ষা দিয়েছিলাম। ২০১৭ সালে মেধা-তালিকা প্রকাশের পরে আজ পাঁচ বছর হয়ে গেল, অন্যায় ভাবে আমাকে চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। কানে আসত, টাকা দিয়ে অনেকে চাকরি পেয়ে যাচ্ছে।’’ প্রিয়াঙ্কা জানান, তিনি টাকা দিয়ে চাকরি কেনার কথা কখনওই ভাবেননি ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement