নিশীথা মাত্রে
পাহাড়ে বন্ধকে বেআইনি ঘোষণা করে কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল ২০১৩ সালে। তার ভিত্তিতেই এ বার পাহাড়ে বন্ধ নিয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, মোর্চা নেতা বিমল গুরুঙ্গ, রোশন গিরিকে যুক্ত করে আদালতে নথি পাঠাতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে। এবং মামলার সেই নথি গুরুঙ্গ, রোশনের বাড়ি এবং মোর্চার কার্যালয়ে সাঁটিয়ে দিতেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
পাহাড়ের বন্ধ নিয়ে দায়ের হওয়া মামলার নথি গুরুঙ্গদের কাছে পৌঁছনোর কোনও প্রমাণ এখনও নেই বলে শুক্রবার শুনানির শুরুতেই উল্লেখ করেন হাইকোর্টের আইনজীবী ওয়াই জেড দস্তুর এবং ফিরোজ এডুলজি। তা শুনেই বিচারপতি মাত্রে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে নির্দেশ দেন, দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপারের মাধ্যমে গুরুঙ্গদের বাড়িতে এবং মোর্চা দফতরে মামলার নথি সংক্রান্ত কাগজপত্র সাঁটিয়ে দিতে। নথি সাঁটানোর প্রক্রিয়া ভিডিও করে রাখতেও বলেছেন মাত্রে।
বন্ধে পাহাড়ে কত ক্ষতি হয়েছে, তার রিপোর্ট জমা দিতে এর আগের দিন শুনানিতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই নির্দেশমাফিক রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব একটি রিপোর্ট আদালতে দাখিল করেন বলে নথি পেশ করে জানান কিশোরবাবু। স্বরাষ্ট্র সচিবের ওই রিপোর্ট প্রাথমিক ক্ষতির হিসেব বলে দাবি করেছেন কিশোরবাবু। পূর্ণাঙ্গ হিসেব পরে দাখিল করা হবে বলে তিনি আদালতকে জানিয়েছেন।