হাতে মাত্র ১২ দিন। শনি-রবিতে তাই সবং বিধানসভা উপ-নির্বাচনের প্রচারের পারদ চড়তে চলেছে। আসরে সব দলই।
আজ, শনিবার সবং হাইস্কুল মাঠে সভার আয়োজন করেছে বিজেপি। সভায় বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, কেন্দ্রীয় নেতা সুরেশ পূজারি, মুকুল রায়, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ একঝাঁক শীর্ষ নেতার উপস্থিত থাকার কথা। বেলা একটায় শুরু হবে সভা। এই সভার সমর্থনে শুক্রবার দিনভর সবংয়ের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার চালিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী অন্তরা ভট্টাচার্য। সর্বত্রই রাজ্য সরকার ও তৃণমূলের নীতির সমালোচনা করেছেন তিনি।
শনিবারের সভাতেও তৃণমূলের বিরোধিতায় বিজেপি নেতারা সুর চড়াবেন বলে মনে করা হচ্ছে। অন্তরাদেবী বলেন, “সবং জুড়ে সন্ত্রাস চলছে। এই সন্ত্রাস থেকে পরিত্রাণ চাইছে মানুষ। তাই সবংয়ে আমাদের জয় নিশ্চিত।’’ তাঁর দাবি, ‘‘বহু মানুষ ঘর থেকে বাইরে এসে আমাদের সমর্থন জানাচ্ছেন। আমাদের আশা সন্ত্রাস উপেক্ষা করে সবংবাসী শনিবারের সভায় যোগ দেবেন।”
বসে নেই তৃণমূলও। তারাও দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে প্রচারে হাজির করার প্রস্তুতি শুরু করেছে। কাল, রবিবার শুভেন্দু অধিকারীর সভা রয়েছে সবংয়ে। তার পরে ধাপে ধাপে দলের নেতা, মন্ত্রী এমনকী তারকারা প্রচারে আসতে পারে বলে তৃণমূলের দলীয় সূত্রে খবর। অবশ্য তৃণমূল প্রার্থী তথা সহধর্মিনী গীতারানি ভুঁইয়ার সমর্থনে প্রচার চালাচ্ছেন সাংসদ মানস ভুঁইয়া। শুক্রবার ভেমুয়ার দক্ষিণবাড়ে পথসভা করেন মানসবাবু। সেখানে এই তৃণমূল সাংসদকে বলতে শোনা যায়, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। কারণ, নরেন্দ্র মোদীর বিকল্প একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এই প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করতে তৃণমূলের
সঙ্গে থাকুন।” পাশাপাশি মানসবাবুর দাবি, “সবংয়ে সিপিএম-বিজেপি এক হয়েছে। দিনের বেলায় যারা সিপিএম, রাতের অন্ধকারে তারাই বিজেপি হয়ে পতাকা টাঙাচ্ছে। আসলে সবংয়ে বিজেপি নেই।” বিজেপি প্রার্থী অন্তরাদেবীর অবশ্য ব্যাখ্যা, “মানসবাবুরা বিজেপিকে ভয় পাচ্ছেন। তাই এ সব কথা বলছেন।’’ তাঁর চ্যালেঞ্জ, ‘‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সবংয়ে বিজেপি আছে কি না তা উপ-নির্বাচনের ভোট গণনাতেই টের পাওয়া যাবে।” সিপিএম ও কংগ্রেস অবশ্য শীর্ষ নেতৃত্বকে এনে সভার বদলে নিবিড় জনসংযোগেই জোর দিচ্ছে। সিপিএম প্রার্থী রিতা মণ্ডল জানা ও কংগ্রেসের চিরঞ্জিত ভৌমিক পথসভা, মিছিল ও পাড়া বৈঠক করছেন নিয়মিত।